ওই এলাকায় বালক ব্রহ্মচারী আশ্রমের কাছে একটি পরিত্যক্ত জমির নীচে সুড়ঙ্গ রয়েছে, বিহারের গাগৌরী থানায় এমনই অভিযোগ জানায় এক যুবক। তাঁর অভিযোগের উপর ভিত্তি করে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনরাটের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিহার পুলিশ। শুক্রবারে রাতে কমিশনারেট থেকে পুলিশ আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে এসে তল্লাশি চালান।
পরিষ্কার করা হচ্ছে জমি। নিজস্ব চিত্র
পরিত্যক্ত এক জমির নীচে সুড়ঙ্গ রয়েছে, সেই সুড়ঙ্গের মধ্যে তিনি সহ ২২ জন যুবককে আটকে রাখা হয়েছিল। বিহারের এক যুবকের এই দাবিকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল পানিহাটির নরসিংহ দত্ত ঘাট এলাকায়। যদিও এলাকায় পুলিশের তল্লাশিতে মিলল না কিছুই।
ওই এলাকায় বালক ব্রহ্মচারী আশ্রমের কাছে একটি পরিত্যক্ত জমির নীচে সুড়ঙ্গ রয়েছে, বিহারের গাগৌরী থানায় এমনই অভিযোগ জানায় এক যুবক। তাঁর অভিযোগের উপর ভিত্তি করে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনরাটের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিহার পুলিশ। শুক্রবারে রাতে কমিশনারেট থেকে পুলিশ আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে এসে তল্লাশি চালান। কিন্তু এলাকাটি জঙ্গলাকীর্ণ হওয়ায় রাতে তল্লাশি করতে অসুবিধা হয়। পুলিশ জমির মালিককে এলাকাটি পরিষ্কার রাখতে বলে।
সকাল থেকে শুরু হয় সাফাই পর্ব। জমির মালিক রাজু দাস বলেন, ‘‘সাত বছর আগে জমিটি কিনেছিলাম। তার পর থেকে পড়ে রয়েছে। শুক্রবার পুলিশ এসে বলল, জমির নীচে একটি সুড়ঙ্গ রয়েছে। সেই সুড়ঙ্গের ভিতরে একটি ঘরে বিহারে থেকে নিয়ে আসা ২২-২৩ জন যুবককে রাখা হয়েছিল। তার মধ্যে ওই ছেলেটি পালিয়ে গিয়ে পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছেন।’’ জমির মালিকের দাবি, তাঁদের এই ধরনের কোনও সড়ঙ্গের কথা জানা ছিল না। ওই সুড়ঙ্গের ভিতর জল, বাথরুম ও রান্নাঘর রয়েছে, পুলিশের কাছে এমনও দাবি করেন বিহারের যুবকটি। তিনিই নিয়মিত আটকে থাকা যুবকদের সাইকেল নিয়ে বাজার করতে যেতেন। এক দিন বাজারে যাওয়ার নাাম করে পালিয়ে যান। তবে কারা কী উদ্দেশ্যে তাঁদের আটকে রেখেছিল, সে বিষয়ে কিছুই জানা যায়নি।
পানিহাটি পুরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার জুলি সরকার পাত্র বলেন, ‘‘আমি বিষয়টি শুনলাম। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। দেখা যাক, কী উঠে আসে।’’