প্রতীকী চিত্র।
ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হল এক তরুণীর। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ-শিয়ালদহ শাখার ঠাকুরনগর স্টেশন এলাকায়। বনগাঁ জিআরপি জানিয়েছে, মৃতের নাম শর্মিলা প্রামাণিক (২৭)। বাড়ি গাইঘাটার ঢাকুরিয়ায়। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে পাঠিয়েছে ময়না তদন্তের জন্য। প্রাথমিক তদন্তের পরে জিআরপি জানিয়েছে, কানে হেডফোন দিয়ে রেললাইন ধরে যাতায়াত করছিলেন শর্মিলা। এ দিনই জিআরপির পক্ষ থেকে ঠাকুরনগর স্টেশনে সাধারণ মানুষ এবং যাত্রীদের সচেতন করতে প্রচার কর্মসূচি চালানো হয়।
জিআরপি ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শর্মিলা একটি ল্যাব সেন্টারে রক্ত সংগ্রহের কাজ করতেন। এ দিন কানে হেডফোন গুঁজে ডাউন লাইন ধরে হাঁটছিলেন। বনগাঁ লোকাল আসতে দেখে আপ লাইনে সরে আসেন। আপ লাইনে কলকাতা-খুলনা বন্ধন এক্সপ্রেস চলে আসে। ট্রেনটি পেট্রাপোলের দিকে যাচ্ছিল। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, আপ লাইনে বন্ধন এক্সপ্রেস চলে এলেও শর্মিলা দেখতে বা শুনতে পাননি। ট্রেনের হুইসেলের শব্দ তাঁর কানে যায়নি। লোকজন চিৎকার করে তাঁকে সরে যেতে বললেও শুনতে পাননি কানে হেডফোন থাকায়।
জিআরপি জানিয়েছে, মানুষকে এ নিয়ে সচেতন করতে নিয়মিত কর্মসূচি নেওয়া হয়। এ দিন তরুণীর মৃত্যুর পরে জিআরপি থানার পুলিশ কর্মীরা ব্যানার নিয়ে, হ্যান্ডমাইক নিয়ে মানুষকে সচেতন করতে শুরু করেন। যাত্রীদের বলা হয়, রেললাইনে বসে বা হেঁটে যাওয়ার সময়ে মোবাইলে গেম খেলবেন না। মোবাইল ব্যবহার করবেন না। বলা হয়, রেল লাইন পারাপার হওয়ার সময়ে কানে হেডফোন দেবেন না, মোবাইল কথা বলবেন না। রেললাইনের উপরে কেউ জামাকাপড় শুকোতে দেবেন না। লাইন পারাপার কয়ার সময়ে
ডান দিক, বাঁ দিক দেখেশুনে পার করুন।
তবে এ দিনও দেখা গেল, বনগাঁ, ঠাকুরনগর, গোবরডাঙা, চাঁদপাড়া, বনগাঁ, মছলন্দপুর, হাবড়া স্টেশনে কিছু যাত্রীর হুঁশ ফেরেনি। অনেকই মোবাইলে কথা বলতে বলতে রেল লাইন ধরে হেঁটে যাচ্ছিলেন। এক মহিলা কানে হেডফোন দিয়ে যাচ্ছিলেন। সে কথা বলায় লজ্জিত হয়ে হেডফোন খুলে ফেলেন।