—প্রতীকী চিত্র।
প্রোমোটিং নিয়ে বিবাদের জেরে এক মহিলা ও তাঁর স্বামীকে মারধরের অভিযোগ উঠল পাইকপাড়ায়। শুধু তা-ই নয়, মহিলা পুলিশের দ্বারস্থ হওয়ায় অভিযোগ তুলে নিতে তাঁকে নানা ভাবে চাপ দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ। গোটা ঘটনায় অভিযোগ উঠেছে কলকাতা পুরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডের পুরপ্রতিনিধির ভাই উত্তম হালদারের বিরুদ্ধে।
জানা গিয়েছে, চার নম্বর ওয়ার্ডের পাইকপাড়ায় বেশ কয়েক বছর ধরে স্বামীকে নিয়ে আছেন পায়েল চক্রবর্তী। মহিলার অভিযোগ, তাঁর বাড়ি লাগোয়া জমিটি দেবোত্তর সম্পত্তি। সেখানে বেআইনি ভাবে নির্মাণ করছিলেন ওই ওয়ার্ডের প্রয়াত পুরপ্রতিনিধি গৌতম হালদারের ভাই উত্তম হালদার। তিনি বিষয়টির প্রতিবাদ করায় এর আগে একাধিক বার উত্তম তাঁকে হেনস্থার চেষ্টা করেন বলে মহিলার দাবি। তিনি জানান, গত ১২ জুলাই রাত আড়াইটে নাগাদ এলাকায় চোর ঢুকেছে সন্দেহে পাড়ার সকলে বেরিয়ে আসেন। খবর পেয়ে উত্তমও সেখানে আসেন। মহিলার অভিযোগ, সেখানেই উত্তম প্রথমে তাঁর স্বামীকে হেনস্থা করেন। তিনি প্রতিবাদ করলে উত্তম তাঁর উপরেও চড়াও হন। তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে মহিলার দাবি। রাতে ঘটনাস্থলে চিৎপুর থানার পুলিশ গিয়ে মহিলাকে উদ্ধার করে। রাতেই তিনি চিৎপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
মহিলার দাবি, অভিযোগ দায়ের করার পর থেকেই তাঁকে নানা ভাবে ভয় দেখানো হচ্ছে। লিখিত অভিযোগ তুলে না নেওয়া হলে পরবর্তী কালে তাঁকে ‘দেখে নেওয়া হবে’ বলেও হুমকি দেওয়া হচ্ছে। ঘটনার পর থেকে আতঙ্কে তিনি এবং তাঁর পরিবার। সমাজমাধ্যমেও এ নিয়ে সরব হয়েছেন তিনি। চিৎপুর থানার পুলিশ মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে বলে জানিয়েছে।
মহিলার অভিযোগ সম্পর্কে তাঁর প্রতিক্রিয়া জানতে অভিযুক্ত উত্তম হালদারের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি, উত্তর দেননি মেসেজের।