হাবড়া হাসপাতালে জখম গীতা। ছবি: সুজিত দুয়ারি
ঘরের মধ্যে বোমা ফেটে জখম হলেন এক মহিলা। শনিবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে হাবড়া থানার নগরথুবা পদ্মারপাড় এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, গীতা মজুমদার নামে ওই মহিলার চিকিৎসা চলছে আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। শরীরের বিভিন্ন অংশ ঝলসে গিয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন কয়েক আগে হাবড়ার শ্রীনগর এলাকায় গুলি-বোমা চলে। রাজু ঘোষ এবং শান্তনু রায় নামে দু’জন জখম হন।
তদন্তে নেমে পুলিশ মূল অভিযুক্ত মিন্টু বিশ্বাস ওরফে মিন্টা-সহ ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে। আরও কয়েকজন দুষ্কৃতীর জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে। গীতার ছেলে প্রবীরের নামও আছে সেই তালিকায়। পুলিশ একাধিকবার তার খোঁজে বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে।
প্রবীর আগে একটি সেলাই কারখানায় কাজ করত। এখন বাড়িতে ব্যাগ সেলাইয়ের কাজ করে। ওই কাজের আড়ালেই সে নানা অপরাধে জড়িয়েছিল বলে অনুমান তদন্তকারীরদের। যদিও তার বিরুদ্ধে পুলিশের খাতায় কোনও লিখিত অভিযোগ এতদিন ছিল না।
পুলিশের দাবি, গীতা জানিয়েছেন, শনিবার বাড়ি-সংলগ্ন ঝোপ-জঙ্গলের মধ্যে একটি কাপড়ের ঝোলা খুঁজে পান। তার মধ্যে দু’টি বোতল ছিল। একটি বোতল ভাঙা ছিল। ভাল বোতলটি ঘরে এনে খুলে দেখতে যান। তখনই প্রচণ্ড শব্দে সেটি ফেটে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন গীতা। পুলিশ তাঁর দাবি খতিয়ে দেখছে।
গীতার বৌমা স্মৃতি বলেন, ‘‘আমি রান্না করছিলাম। শব্দ শুনে ঘরে গিয়ে দেখি, শাশুড়ি লুটিয়ে পড়েছেন। আমি চিৎকার করে লোকজন ডাকি।’’ বাসিন্দারা এসে গীতাকে হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে দু’টি বেসরকারি হাসপাতাল হয়ে আরজিকরে ভর্তি করা হয়।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, প্রবীর হয় তো ওই বোতল বোমা বাড়ির পাশে জড়ো করে রেখেছিল। তারই মূল্য চোকাতে হচ্ছে মাকে!