যুবকের সঙ্গে পরকীয়া! গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে মারধরের অভিযোগ শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। প্রতীকী ছবি।
পড়শি যুবকের সঙ্গে ‘আপত্তিকর’ অবস্থায় ধরা পড়ায় এক গৃহবধূকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। এমনকি ওই বধূ এবং যুবককে বিবস্ত্র করে, গাছে বেঁধে মারধর করারও অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কুলপির করঞ্জলি গ্রামে। ইতিমধ্যেই সমাজমাধ্যমে মারধরের ভিডিয়োটি ভাইরাল হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, নির্যাতিতা গৃহবধূর স্বামী ভিন রাজ্যে কাজ করেন। শ্বশুরবাড়িতেই দুই সন্তানকে নিয়ে থাকতেন নির্যাতিতা। অভিযোগ, ওই মহিলার বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে স্থানীয় এক যুবকের সঙ্গে। গত মঙ্গলবার রাতে সেই যুবকের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁকে দেখে ফেলেন। এর পরেই ওই নির্যাতিতার শ্বশুরবাড়ির লোকজন এবং এলাকার বাসিন্দারা ওই গৃহবধূ ও ওই যুবককে বিবস্ত্র করে এক সঙ্গে গাছে দড়ি দিয়ে বেঁধে বেধড়ক মারধর করেন। এমনকি সেই মুহূর্তের ভিডিয়ো তুলে ভাইরাল করা হয়। অন্য দিকে, ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ওই গৃহবধূ ও যুবককে উদ্ধার করে কুলপি থানার পুলিশ। ঘটনার পর থেকে ঘরছাড়া ওই নির্যাতিতা গৃহবধূ।
সমাজ মাধ্যমে এই ভিডিয়োটি নিয়ে শোরগোল পড়ে যেতেই নড়েচড়ে বসে কুলপি থানার পুলিশ। সুন্দরবন পুলিশ জেলার এসপি ভাস্কর মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। মারধর, নিগ্রহের সঙ্গে যাঁরা জড়িত রয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে ঘটনার ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনেও মামলা রুজু করা হয়েছে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে ১০ জনকে ১৪ দিনের জন্য জেল হেফাজত এবং নির্যাতিতা গৃহবধূর শাশুড়ি এবং দেওরকে ৪ দিনের পুলিশি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে ডায়মন্ড হারবার এসিজেএম আদালত।