বাড়ছে দুর্ঘটনা, প্রাণ যাচ্ছে কিশোর-কিশোরীর

স্কুটি চালাতে গিয়ে মৃত্যু কিশোরীর

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অশোকনগরের এক যুবক অভিজিৎ দাস বৃহস্পতিবার বিকেলে দুই বান্ধবীকে স্কুটির পিছনে তুলে যশুর এলাকায় ঘুরতে যান। সপ্তাহ খানেক হয়েছে যুবকটি স্কুটি কিনেছিলেন। এখনও স্কুটির নম্বর প্লেট হয়নি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০১৯ ০১:১৪
Share:

ববি দে

বান্ধবীকে স্কুটির পিছনে বসিয়ে চালাতে গিয়ে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল নবম শ্রেণির এক কিশোরীর। বৃহস্পতিবার বিকেলে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে হাবড়ার যশুর এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম ববি দে (১৫)। গুরুতর জখম হয়েছে ববির সহপাঠী অঙ্কিতা সরকার। আশঙ্কাজনক অবস্থায় অঙ্কিতা বারাসত জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার মাথায় ও বুকে চোট লেগেছে। পুলিশ স্কুটিটি উদ্ধার করেছে।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অশোকনগরের এক যুবক অভিজিৎ দাস বৃহস্পতিবার বিকেলে দুই বান্ধবীকে স্কুটির পিছনে তুলে যশুর এলাকায় ঘুরতে যান। সপ্তাহ খানেক হয়েছে যুবকটি স্কুটি কিনেছিলেন। এখনও স্কুটির নম্বর প্লেট হয়নি। যশুর এলাকায় গিয়ে দেখা হয় পরিচিত ববি ও অঙ্কিতার। যুবকের কাছ থেকে স্কুটিটি নিয়ে ববি পিছনে তোলে অঙ্কিতাকে। বদর-বেড়াচাঁপা সড়ক ধরে সে স্কুটি চালাচ্ছিল। ওই সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাঁচিলে ধাক্কা মারে। ছিটকে পড়ে রাস্তায়। জখম দু’জনকে হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাদের কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। রাস্তায় মারা যায় ববি। অঙ্কিতাকে বারাসত জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এলাকার মানুষের মধ্যে শোকের ছায়া নেমেছে।

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত এবং জখম কিশোরীদের কারও বাড়িতে স্কুটি নেই। তারা চালাতেও পারে না। ববির বাবা ঠিকাদারের কাজ করেন। দুই মেয়ের মধ্যে ববি ছোট। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ববি স্কুটি চালাতে পারে বলে পরিবারের কেউ জানতেন না। স্কুটি কিনে দেওয়ার জন্য বাড়িতেও কখনও বলেনি। স্কুলেও গৃহশিক্ষকের কাছে সে সাইকেল চালিয়ে যেত। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement