—প্রতীকী চিত্র
ফের রাজ্যে গণপিটুনির ঘটনা। উত্তর ২৪ পরগনার আড়িয়াদহে এ বার আক্রান্ত হলেন মা এবং পুত্র। আহত দু’জন বর্তমানে একটি স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। রবিবার ঘটনাটি ঘটলেও ঘটনাস্থলে থাকা একটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ মঙ্গলবার প্রকাশ্যে এসেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, রাস্তার উপরে মা এবং পুত্রের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ছেন কয়েক জন। চলছে বেধড়ক মারধর (যদিও এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন)। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ছ’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, রবিবার কলেজপড়ুয়া যুবক সায়নদীপ পাঁজার উপরে দুষ্কৃতী জয়ন্ত সিংহ এবং তার দলবল ঝাঁপিয়ে পড়ে। বাড়ির সামনে চিৎকার- চেঁচামেচি শুনে বাইরে বেরিয়ে আসেন আক্রান্ত কলেজপড়ুয়ার মা। পুত্রকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হন মা-ও। মেরে আক্রান্ত মহিলার দাঁত ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে বেলঘরিয়া থানায়।
আক্রান্তদের পরিবারের তরফে জানা গিয়েছে, ছোটদের মধ্যে ঝামেলা পরে বড় আকার নেয়। সায়নদীপের সঙ্গে তাঁর বন্ধুদের বচসার রেশ গড়ায় বহু দূর। জয়ন্তের নেতৃত্বে দুষ্কৃতীরা চড়াও হয় সায়নদীপ নামের ওই যুবকের উপরে।
গত কয়েক দিন ধরেই রাজ্যের নানা প্রান্তে গণপিটুনির ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। কলকাতার বৌবাজারে উদয়ন হস্টেলে মোবাইল ফোন চুরির অভিযোগে বছর সাঁইত্রিশের ইরশাদ আলমকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছে। সল্টলেকের পোলেনাইট এলাকায় মোবাইল চোর সন্দেহেই প্রসেন মণ্ডল নামের এক যুবককে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে।
রবিবার দুপুরেই তৃণমূলের চোপড়ার নেতা তাজিমুল ওরফে ‘জেসিবি’র একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসে। সেই ভিডিয়োয় দেখা যায়, এক তরুণীকে রাস্তার মধ্যে ফেলে এক ছড়া কঞ্চি দিয়ে বেধড়ক মারছেন জেসিবি। মার খেতে খেতে গুটিয়ে যাওয়া মেয়েটিকে চুলের মুঠি ধরে টেনে এনে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলা হচ্ছে। তার পরে আবার শুরু হচ্ছে মার। একই সঙ্গে এক তরুণকেও একই ভাবে মারতে দেখা যায় তাঁকে ( এই ভিডিয়োটির ওসত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন )। তবে ওই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার পরই শুরু হয়েছিল বিতর্ক। একে একে মুখ খুলতে শুরু করে রাজ্যের বিরোধী দলগুলি। রবিবার রাতেই গ্রেফতার করা হয় ‘জেসিবি’কে।