পিয়ালি খালের উপরে বেহাল সেই সাঁকো। ছবি: প্রসেনজিৎ সাহা।
বেহাল সাঁকো পেরিয়ে স্কুলে যাওয়ার সময়ে খালে পড়ে জখম হল বছর দশেকের এক ছাত্র। স্থানীয় বাসিন্দারাই খালে নেমে উদ্ধার করেন তাকে। নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে। ক্যানিং ১ ব্লকের হাটপুকুরিয়া পঞ্চায়েতের দক্ষিণ ডেভিসাবাদ গ্রাম ও বারুইপুর ব্লকের বৃন্দাখালি পঞ্চায়েতের জয়াতলার সংযোগকারী পিয়ালি খালের উপরে তৈরি এই সাঁকোটি দীর্ঘ দিন ধরেই বেহাল। সেখানেই শুক্রবার ঘটনাটি ঘটে।
এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রতি দিনই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো পারাপার করতে হয়। অনেক জায়গায় রেলিং ভেঙে গিয়েছে। পাটাতনের কাঠও অনেক জায়গায় ভেঙেছে। যে খুঁটির উপরে সাঁকো দাঁড়িয়ে রয়েছে, সেগুলিও নড়বড়ে। পাঁচ বছর আগে তৈরি হয়েছিল সাঁকোটি। অভিযোগ, কিছু দিনের মধ্যেই এটি ভাঙতে শুরু করে। স্থানীয় মানুষজন নিজেদের উদ্যোগে কোনওমতে বাঁশের তাপ্পি লাগিয়ে যাতায়াত করেন। অভিযোগ, সাঁকো সংস্কারে উদ্যোগ করেনি প্রশাসন।
স্থানীয় সূত্রের খবর, দু’টি ব্লকের সংযোগকারী এই সাঁকো দিয়ে প্রতি দিন কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। বারুইপুর ব্লকের জয়াতলা হাই স্কুলে হাটপুকুরিয়া পঞ্চায়েত এলাকার তেরোশোর বেশি পড়ুয়া পড়াশোনা করে। তারাও এই পথে যায়। হাটপুকুরিয়া এলাকায় উৎপাদিত কৃষিজাত দ্রব্য এই সাঁকোর উপর দিয়ে বারুইপুর সহ কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় পাড়ি দেয়। সাঁকো পেরিয়ে জয়াতলায় বাজার করতে আসেন হাটপুকুরিয়ার মানুষ।
স্থানীয় বাসিন্দা জাহাঙ্গির সর্দার, শাহ আলম সর্দারেরা বলেন, “সাঁকোর যা অবস্থা, দ্রুত মেরামত না করলে আরও দুর্ঘটনা ঘটবে। সাঁকো বন্ধ হয়ে গেলে দু’পাশের মানুষকে অসুবিধার মধ্যে পড়তে হবে।”
জয়াতলা হাই স্কুলের শিক্ষক অশোককুমার সর্দার বলেন, “প্রতি দিনই স্কুলের ছেলেমেয়েরা এই সাঁকোর উপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে আসা-যাওয়া করে। মাঝে মধ্যে দুর্ঘটনা ঘটছে। এ দিন এক জন কোনও মতে প্রাণ বেঁচেছে। দ্রুত সাঁকো সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি।”
ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক পরেশরাম দাস বলেন, “এলাকার মানুষের দীর্ঘ দিনের চাহিদা মেনে এই সাঁকোর বিষয়ে সেচমন্ত্রীকে জানিয়েছিলাম। ইতিমধ্যেই টেন্ডার হয়ে গিয়েছে। দ্রুত কাজ শুরু হবে।”