—প্রতীকী চিত্র।
ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, গায়ে জ্বালানি ঢেলে, থামের সঙ্গে বেঁধে পেটানো হচ্ছে এক ব্যক্তিকে। তাঁর নাক-মুখ দিয়ে বেরিয়ে আসছে রক্ত। চোর সন্দেহে আটকে রাখা ওই ব্যক্তির সামনে সেই অবস্থাতেই ফোন ধরে তাঁকে দিয়ে বলানোর চেষ্টা হচ্ছে যে, তিনি তেল চুরি করতে এসেছিলেন। স্থানীয়দের কয়েক জন এই ঘটনার ভিডিয়ো মোবাইলে তুলে সমাজমাধ্যমে দেওয়ার পরেই তা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে (ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার পত্রিকা)। শাসন ও দত্তপুকুর থানার সীমান্ত এলাকায় বুধবার সকালে এই ঘটনা ঘটে বলে খবর। যদিও দুই থানার পুলিশেরই দাবি, ঘটনাটি তাদের এলাকায় ঘটেনি। তবে স্থানীয়দের বক্তব্য, মারধরে জখম ওই ব্যক্তিকে পরে শাসন থানার পুলিশ এসে উদ্ধার করে। শাসন থানা অবশ্য সে কথা স্বীকার করেনি।
স্থানীয় সূত্রের খবর, ঘটনাটি ঘটে দাদপুর পঞ্চায়েত অফিসের অদূরে টাকি রোডের উপরে। ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, রাস্তার ধারে জঙ্গলের মধ্যে ফেলে এক ব্যক্তিকে নির্মম ভাবে বাঁশ, গাছের ডাল দিয়ে পেটানো হচ্ছে। একের পর এক বাঁশ ও গাছের ডাল ভাঙা হচ্ছে তাঁর গায়ে। অপর একটি ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, ওই ব্যক্তিকে একটি বাড়ির দাওয়ায় বসিয়ে থামের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, ওই ব্যক্তির গায়ে জ্বালানি ঢেলে দিয়ে তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়।
স্থানীয় সূত্রের খবর, ওই জায়গাটি বাংলাদেশে গরু পাচারের একটি ‘করিডর’। সেখানে অনেক সময়ে গরুবোঝাই লরি দাঁড়িয়ে থাকে। অভিযোগ, ওই ব্যক্তি ও তাঁর সঙ্গীরা একটি লরি থেকে জ্বালানি চুরি করতে গিয়ে বাধার মুখে পড়েন। বাকিরা পালাতে পারলেও ধরা পড়েন তিনি। অভিযোগ, তাঁকে প্রথমে বেধড়ক মারধর করা হয়। এর পরে বেঁধে রেখে গায়ে জ্বালানি ঢালা হয়। অনেকের অনুমান, তাঁকে সম্ভবত জ্বালিয়ে দেওয়ার ছক কষা হয়েছিল। স্থানীয়েরা জানান, পুলিশ পৌঁছে ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে। যদিও শাসন ও দত্তপুকুর থানা, কোনও পক্ষই ঘটনার কথা স্বীকার করছে না। তবে তাদের এলাকায় এত বড় একটি ঘটনার ভিডিয়ো ভাইরাল হল, অথচ তার খবর তারা জানল না কী ভাবে, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।