—প্রতীকী চিত্র।
মুখে দল, প্রতীকে নির্দল।
ঘরের অন্দরে কী চলছে কেউ জানেন না, তবে জামাইয়ের কীর্তিতে প্রকাশ্যে বিপাকে পড়েছেন শ্বশুরমশাই। তিনি ছিলেন তৃণমূলের গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান। এ বারেও তিনি দলের টিকিট পেয়েছেন। কিন্তু প্রত্যাশা থাকলেও তৃণমূল টিকিট না দেওয়ায় কদম্বগাছি পঞ্চায়েতের ওই বিদায়ী উপ প্রধানের জামাই পঞ্চায়েত সমিতিতে নির্দলে দাঁড়িয়ে পড়েছেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের বাজারে এ নিয়ে এলাকায় মুখরোচক আলোচনাও চলছে।
বারাসত -১ নম্বর ব্লকের কদম্বগাছি পঞ্চায়েতের বিদায়ী বোর্ডের উপ প্রধান সুনীল মণ্ডল ২২ নম্বর সংখ্যায় (আসনে) তৃণমূলের টিকিটে লড়ছেন। এলাকার খবর, এ বার তাঁর জামাই রথীন মণ্ডলেরও টিকিট পাওয়ার কথা ছিল। এর আগের বোর্ডে সুনীলের মেয়েও পঞ্চায়েতের সদস্যা ছিলেন। এ বার একমাত্র সুনীল ছাড়া কেউই টিকিট পাননি।
আর এতেই বেজায় চটেছেন রথীন। তিনি বারাসত-১ ব্লকে পঞ্চায়েত সমিতির ২৬ নম্বর সংখ্যায় (আসনে) নির্দল হয়ে দাঁড়িয়ে পড়েছেন। তাঁর দাবি, তিনি তৃণমূলকে ভালবাসেন। দলের হয়ে প্রচুর কাজ করেছেন। এ বারে তিনি টিকিট পাবেন এক রকম নিশ্চিত ছিলেন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে ছিটকে গিয়েছেন।
এ নিয়ে প্রকাশ্যে অস্বস্তিতে মণ্ডল পরিবার। বিদায়ী উপ প্রধান তথা শ্বশুর সুনীলবাবুর কথায়, ‘‘আমার জামাই হলেও ওরা তো আমাদের সঙ্গে থাকে না। ও কেন এমন করল তা-ও জানি না। আমার সঙ্গে কোনও পরামর্শ না করেই নির্দলে দাঁড়িয়ে পড়েছে। ভোট না গেলে এ নিয়ে আর কোনও কথা বলব না।’’
যদিও জামাই রথীন কিন্তু শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ স্লোগান দেওয়ার মতো করেই বলছেন, ‘‘আমি তো সুনীলবাবুকে দেখেই অনুপ্রাণিত হয়ে রাজনীতি করেছি। এখানে তৃণমূলের যে কোনও সভায় সব চেয়ে বেশি জমায়েত আমি করাই। কোভিডের সময়ে অন্যদের মতো আমরাও রাস্তায় নেমে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। আমার টিকিট না পাওয়াটা এলাকার মানুষ মেনে নিতে পারেননি। তবুও আমি তৃণমূলকে ভালবাসি।’’