—প্রতীকী চিত্র।
বিষক্রিয়ায় প্রাণ গেল দুই নাবালকের। তাদের মাকে বিষ খাইয়ে বাবা নিজেও বিষপান করেন বলে অভিযোগ। স্বামী-স্ত্রীর অবস্থা আশঙ্কাজনক।
মঙ্গলবার রাতে স্বরূপনগর থানার দক্ষিণ কাচদহ গ্রামের ঘটনা। মৃতদের নাম হৃদয় দাস (১০) এবং অঞ্জনা দাস (৫)। তাদের বাবা উত্তম ও মা কণিকার চিকিৎসা চলছে কলকাতার হাসপাতালে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, পারিবারিক অশান্তির জেরেই এই ঘটনা।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তমের বাবা মারা গিয়েছেন। তাঁর চার সন্তান। এক জনের মৃত্যু হয়েছে। উত্তমের সঙ্গে থাকতেন তাঁর মা রঞ্জিতা। অভিযোগ, মত্ত অবস্থায় ফিরে বাড়িতে প্রায়ই অশান্তি করতেন উত্তম। জমিজমা বিক্রি করে দিতে বলতেন। টাকা চাইতেন।
মঙ্গলবার সকাল থেকে মত্ত অবস্থায় মায়ের সঙ্গে অশান্তি চলছিল উত্তমের। রাতে গোলমাল বাড়ে। পুলিশ জানতে পেরেছে, বাজার থেকে কীটনাশক কিনে আনেন উত্তম। সঙ্গে আনেন সিঙ্গাড়া, দই।
তদন্তকারীদের অনুমান, খাবারে বিশ মিশিয়ে তিনি স্ত্রী-সন্তানদের খাইয়ে দেন। নিজেও খান বিষাক্ত সেই খাবার। শরীর খারাপ হতে শুরু করে সকলের। বাচ্চাদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে দেখেন, উত্তমের ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। দরজা ভেঙে দেখা যায়, পড়ে আছে চার জন।
সকলকে উদ্ধার করে হাবড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই মারা যায় হৃদয় ও অঞ্জনা। উত্তম ও কণিকাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় পাঠানো হয় কলকাতায়।
এই ঘটনায় কান্নায় ভেঙে পড়েছেন বৃদ্ধা রঞ্জিতা। তিনি বলেন, ‘‘অতিরিক্ত মদ খেত ছেলে। সব টাকা উড়িয়ে দিত। ভবিষ্যতে নাতি-নাতনিদের কথা ভেবে বাড়িটা রাখতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ছেলে তাও মেনে নিতে চাইত না। এই নিয়ে অশান্তি। সে জন্য যে এমন কাণ্ড ঘটাবে, তা বুঝতে পারিনি।’’