জখম: মারে জখম মা ও বোন। ছবি: সজলকুমার চট্টোপাধ্যায়
সম্পত্তি লিখে না দেওয়ায় বৃদ্ধ বাবা-মা এবং বোনকে মারধরের অভিযোগ উঠল ছেলে-বৌমার বিরুদ্ধে। ঘটনায় মাথা ফেটেছে মা ও মেয়ের। শুক্রবার, দেগঙ্গা থানার আজিজনগরের ঘটনা। দুই ছেলে ও পুত্রবধূর বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ করেছেন বৃদ্ধ দম্পতি। এক ছেলে পলাশ চক্রবর্তীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
অমর চক্রবর্তী নামে ওই বৃদ্ধ পুলিশকে জানিয়েছেন, ১৭ শতক জমির উপরে বাড়ি-ঘর তাঁর নামেই। সেখানে দুই ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে তিনি থাকেন। মাসখানেক আগে দুই ছেলে পুরো জমি তাঁদের নামে লিখে দিতে বলে। রাজি না হওয়ায় অমরবাবু ও তাঁর স্ত্রীকে মারধর করে। সে সময়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়ে বারাসত আদালতের দারস্থ হয়েছিলেন বৃদ্ধ দম্পতি।
বৃহস্পতিবার আদালত থেকে এই মর্মে নোটিস আসে ছেলেদের কাছে। অমরবাবু বলেন, ‘‘আদালতের কাগজ পাওয়ার পরেই ওদের দুর্ব্যবহার কয়েক গুণ বেড়ে যায়। সকালে ঘুম থেকে উঠে বাইরে যেতেই লাঠি দিয়ে আমাকে মারতে শুরু করে দুই ছেলে। যোগ দেয় দুই বৌমাও। আমার স্ত্রী ও মেয়েকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেয়।’’ অমরবাবুর মেয়ে মৌসুমী বলেন, ‘‘বাবা-মাকে মেরে ভাইয়েরা সম্পত্তি হাতাতে চেয়েছিল। আমি বাধা না দিলে ওঁদের বাঁচানো যেত না।’’
পুলিশ জানিয়েছে, অমরবাবুর স্ত্রী ও মেয়েকে প্রতিবেশীরাই উদ্ধার করে বিশ্বনাথপুর ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান। মায়ের মাথায় তিনটি এবং মেয়ের মাথায় ছ’টি সেলাই পড়েছে। যদিও ধৃত পলাশের বক্তব্য, ‘‘বাবা-মা মিথ্যা অভিযোগ করছেন। বাড়িতে মহিলাদের মধ্যে ঝগড়া হয়েছে। কাউকে মারধর করা হয়নি।’’