—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
দুর্গাপুজোর বৈঠক ঘিরে অশান্তি। সদস্যদের মধ্যেই চলল হাতাহাতি। ব্যারাকপুরের একটি ক্লাবে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে প্রাণ গেল এক প্রৌঢ়ের। এ ক্ষেত্রে অভিযোগের আঙুল উঠেছে ব্যারাকপুরের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর মৌসুমি মুখোপাধ্যায় এবং তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে। তবে যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত কাউন্সিলর।
রবিবার ব্যারাকপুরের মহিলা পরিচালিত একটি ক্লাবে দুর্গাপুজোর কমিটি গঠন নিয়ে বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে ওঠে গত বছরের আয়-ব্যয়ের প্রসঙ্গও। তা নিয়েই প্রথমে সদস্যদের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। অভিযোগ, সেখানে দলবল নিয়ে ঢুকে পড়েন কাউন্সিলর। শুরু হয় ধস্তাধস্তি। ধস্তাধস্তিতে অসুস্থ হয়ে পড়েন ক্লাবের সদস্য পার্থ চৌধুরী। তাঁকে ব্যারাকপুরের বিএন বসু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
নিহত প্রৌঢ়ের পরিবারের দাবি, পার্থের কোনও শারীরিক অসুস্থতা ছিল না। কাউন্সিলরের অনুগামীরা তাঁকে মারধর করেন। যদিও কাউন্সিলরের দাবি, নিহত সদস্য বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না। অসুস্থতার কারণে রিকশা থেকে পড়ে গিয়ে আঘাত পান তিনি। পরে তাঁর মৃত্যু হয়।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে ব্যারাকপুরের পুরপ্রধান উত্তম দাস বলেন, “ক্লাবে মিটিং ছিল। ভিতরে কী হয়েছে বলতে পারব না। তবে খবর নিয়ে জেনেছি, যিনি মারা গিয়েছেন, তিনি ওই বৈঠকে ছিলেন না। কিছু ছেলে ওঁকে ধাক্কাধাকি করেছে। তখনই উনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।” একই সঙ্গে পুরপ্রধান জানান, কাউন্সিলর বা যিনিই এই ঘটনায় দোষী হোন না কেন, পুলিশ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে। আগে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসুক।”
ক্লাবটির বিদায়ী প্রেসিডেন্ট সঞ্চিতা কুমারের দাবি, বৈঠকে তৃণমূল কাউন্সিলরের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন ক্লাবের সিপিএম সমর্থক কিছু সদস্য। কিছু যুবক হঠাৎই ভাঙচুর শুরু করেন বলে দাবি করেছেন তিনি। ঝামেলা পাকানোর অভিযোগ তুলে বেশ কয়েক জন ক্লাব সদস্যের নামও করেছেন বিদায়ী সভাপতি।