প্রতীকী ছবি।
পূর্ণিমার কটালের জেরে জলস্ফীতির কারণে সুন্দরবনের পিয়ালী নদীতে তলিয়ে গেল যাত্রীবোঝাই নৌকা। প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও নৌকায় অতিরিক্ত যাত্রী নেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলি ব্লকের মেরিগঞ্জ এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় নৌকার ৩০ জন যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন মহিলা এবং শিশুও রয়েছে।
দুর্ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে চলে আসে কুলতলি থানার পুলিশ। পরে বারুইপুরের এসডিপিও অভিষেক মজুমদারের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে আসে। উদ্ধার হওয়া যাত্রীদের মধ্যে বেশ কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, এ দিনের ঘটনায় কোনও প্রাণহানি ঘটেনি।
স্থানীয় এবং পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ মেরিগঞ্জের নোয়াপাড়া নদী ঘাট থেকে জয়নগর এক নম্বর ব্লকের মহিষমারি পর্যন্ত পারাপারের ক্ষেত্রে সারা বছর পিয়ালী নদীতে নৌকা চলে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ৩০ জন যাত্রী নিয়ে নৌকা মহিষমারি হারি হাটের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল। বৈঠা টানা এই নৌকাগুলিতে সর্বোচ্চ ১০ জন যাত্রী তোলার অনুমতি রয়েছে। পূর্ণিমার কটালের জেরে এ দিন পিয়ালী নদীতে জলস্ফীতি দেখা দিয়েছিল। তার উপর অতিরিক্ত যাত্রী তোলার কারণে মাঝ নদীতে নৌকা ডুবে যায়। তাঁদের আর্ত চিৎকার শুনে স্থানীয় বাসিন্দা ও মৎস্যজীবীরা উদ্ধারের কাজে নেমে পড়েন। ১৩ জন যাত্রী সাঁতার কেটে ডাঙায় ফিরে আসতে সক্ষম হন। কিন্তু যাত্রীদের শিশু এবং মহিলাদের অনেকেই আটকে পড়েন। স্থানীয়রাই তাঁদেরকে উদ্ধার করেন। পরে পুলিশের সহযোগিতায় ৩০ যাত্রীকেই উদ্ধার হয়েছে। এ বিষয়ে বারুইপুরের এসডিও সুমন পোদ্দার জানিয়েছেন, ‘‘সব যাত্রীকেই উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। কয়েক জন অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তবে কেন অতিরিক্ত যাত্রী তোলা হয়েছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’