বোমা জাতীয় কিছু ছোড়া হয়েছে একটি বাড়িকে লক্ষ্য করে। প্রতীকী ছবি
গভীর রাতে বিকট শব্দে আচমকাই কেঁপে উঠল চার দিক। শুনে হকচকিয়ে গেলেন আশপাশের বাসিন্দারা। যে বাড়ি থেকে ওই আওয়াজ এসেছিল, তার মালিকও প্রথমে বুঝতে পারেননি কোথায়, কী ঘটেছে। পরে বেরিয়ে দেখেন, বোমা জাতীয় কিছু ছোড়া হয়েছে তাঁর বাড়ি লক্ষ্য করে। তাতেই ভেঙে পড়েছে একতলার জানলা ও বারান্দার কাচ। রবিবার রাত আড়াইটে নাগাদ ঘটনাটি ঘটে পানিহাটিতে। এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজেও দেখা যাচ্ছে, ওই বাড়ির দিকে আগুন জ্বালানো অবস্থায় কিছু ছোড়া হচ্ছে। পরক্ষণেই সেটি বিস্ফোরণ ঘটাচ্ছে। কিন্তু কী কারণে এমন ঘটনা, তা বুঝে উঠতে পারছেন না কেউই। ঘটনার তদন্ত করছে খড়দহ থানার পুলিশ।
পানিহাটি পুরসভার ছ’নম্বর ওয়ার্ডের শ্যামাদাস বন্দ্যোপাধ্যায় স্ট্রিটের ওই বাড়ির মালিক মনোজ প্রসাদ। তিনি ভাবা পরমাণু গবেষণা কেন্দ্রের সল্টলেক শাখায় কর্মরত।ওই রাতে বাড়ির দোতলায় তাঁর মেয়ে নিট পরীক্ষার জন্য পড়াশোনা করছিলেন। একতলার ঘরে ঘুমোচ্ছিলেন মনোজ। স্থানীয় বাসিন্দা শান্তিরঞ্জন দাস বলেন, “আড়াইটে নাগাদ আচমকাই বিকট শব্দে ঘুম ভেঙে যায়। পাশের ফ্ল্যাটের প্রতিবেশী দেখেন, মনোজের বাড়ি থেকে ধোঁয়া মতো বেরোচ্ছে। তখন ওঁকেও ডাকাডাকি করা হয়।” বাইরে বেরিয়ে তিনি দেখেন, ওই কাণ্ড।
তদন্তকারীদের মনোজ জানান, আওয়াজ শুনেও প্রথমে তিনি বুঝতে পারেননি যে, সেটা তাঁর বাড়িতেই ঘটেছে। কেন্দ্রীয় সরকারি ওই কর্মী রাজনীতিতে যুক্ত নন। এলাকায় তাঁর যথেষ্ট সুনাম। স্থানীয় বাসিন্দা অমিয় মুখোপাধ্যায়ের কথায়, “ওঁর বাড়িতে কেন এমন ঘটল, বোধগম্য হচ্ছে না। আমরা আতঙ্কিত।” খবর পেয়ে রাতেই খড়দহ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। সোমবার সকালেও আসেন তদন্তকারীরা। মনোজ বলেন, “পাঁচটি জানলার কাচ, ফলস্ সিলিং ভেঙে পড়েছে। বাইরে বেরোলেও কাউকে পালাতে দেখিনি। আমার মেয়ে খুব আতঙ্কে আছে।”