Murder

প্রথমে গুলি, পরে ধারালো অস্ত্রের কোপ! বিষ্ণুপুরে খুনের নেপথ্যে কি পুরনো শত্রুতা? তদন্তে পুলিশ

পুলিশ জানিয়েছে, প্রথমে আইজুদ্দিনের কপালে গুলি করেন পিন্টু। শুধু তাই নয়, মৃত্যু নিশ্চিত করতে তাঁরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁকে ক্ষত বিক্ষত করেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

বিষ্ণুপুর শেষ আপডেট: ২০ মে ২০২৩ ০১:৫৫
Share:

প্রকাশ্যে গুলি করে খুনের ঘটনা ঘটল বিষ্ণুপুরে। প্রতীকী ছবি।

প্রকাশ্যে গুলি করে খুনের ঘটনা ঘটল বিষ্ণুপুরে। শুক্রবার সন্ধ্যায় সামালি মোল্লাপাড়ায় বন্ধুদের স‌ঙ্গে ক্যারাম খেলার সময় আচমকা এই ঘটনা ঘটে। মৃতের নাম আইজুদ্দিন মোল্লা (৪০)। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ পিন্টু মন্ডল নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আইজুদ্দিন মাটির ব্যবসার স‌ঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাঁর নামে বিষ্ণুপুর থানায় একটি খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। অভিযোগ, মহীরুদ্দিন মোল্লা নামে এক ব্যক্তির বাবাকে তিনি গুলি করে মেরেছিলেন। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, পুরনো শত্রুতার জেরেই এই খুন।

পুলিশ জানিয়েছে, সন্ধ্যা ৬টা ৪০ নাগাদ এলাকার একটি চায়ের দোকানে আইজুদ্দিন তাঁর বন্ধুদের সঙ্গে ক্যারাম খেলছিলেন। সেই সময় তিন ব্যক্তি দু’টি বাইকে করে আসেন। এসেই তাঁরা বোমাবাজি করে বলে অভিযোগ। ভয়ে অনেকেই পালিয়ে যান। তার পর আইজুদ্দিনের কপালে গুলি করেন পিন্টু। শুধু তাই নয়, মৃত্যু নিশ্চিত করতে তাঁরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁকে ক্ষত বিক্ষত করেন। এই ঘটনার পর আইজুদ্দিনকে উদ্ধার করে সামালি ব্লকের প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যান স্থানীয়েরা। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

Advertisement

আইজুদ্দিনের পরিবারের দাবি, ঘটনার পর অভিযুক্তেরা অন্য একটি রাস্তা দিয়ে পালিয়ে যান। পালিয়ে যাওয়ার সময় মৃতের বোন তাঁদের দেখে চিনতে পারেন বলে ওই পরিবারের দাবি। প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, আততায়ীরা মুখে কাপড় বেঁধে এসেছিল। তবে মৃতের বোন দাবি করেছেন, ওই তিন জন ভাদু, পিন্টু এবং সুকুর।

ঘটনার জানাজানি হতে হাসপাতাল চত্বরেই পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁর পরিবারের লোকজন। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।পুলিশ জানিয়েছে, তদন্তে নেমেই তিন অভিযুক্তদের মধ্যে পিন্টুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের সন্ধানে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement