—প্রতীকী ছবি।
নাবালিকার রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ উঠল এক চিকিৎসক ও তাঁর শাগরেদের বিরুদ্ধে। মৃতার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে তাঁদের গ্রেফতার করে বারাসত থানার পুলিশ।
পুলিশ ও আদালত সূত্রের খবর, বারাসত থানা এলাকার কাজিপাড়ার একটি নার্সিংহোমের মালিক, চিকিৎসক আব্দুর রেজ্জাক মণ্ডলের বাড়িতে পড়াশোনা ও কাজ করত দেগঙ্গা থানা এলাকার বাসিন্দা এক নাবালিকা। গত বুধবার দুপুরে হঠাৎই নিখোঁজ হয়ে যায় সে। পরে তাকে নার্সিংহোম সংলগ্ন এলাকায় পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়েরা। খবর পেয়ে বারাসত থানার পুলিশ গিয়ে নাবালিকার দেহ উদ্ধার করে। দেহের ময়না তদন্ত হয়েছে।
চিকিৎসক রেজ্জাকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ তোলে নাবালিকার পরিবার। চিকিৎসককে গ্রেফতারের দাবিতে স্থানীয়দের নিয়ে বিক্ষোভ দেখান মৃতার পরিজনেরা। দোষীদের গ্রেফতার করার বিষয়ে পুলিশ তাঁদের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। ওই রাতেই নাবালিকার পরিবার বারাসত থানায় অভিযোগ দায়ের করে। তদন্তে নেমে শুক্রবার সকালে নার্সিংহোমের মালিক, চিকিৎসক আব্দুর রেজ্জাক মণ্ডল ও তাঁর শাগরেদ আব্দুল মোতালেবকে থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। তাঁদের বয়ানে অসঙ্গতি ধরা পড়ায় শুক্রবার রাতেই গ্রেফতার করা হয়। শনিবার সকালে দু’জনকে বারাসত আদালতে এনে ১৪ দিনের হেফাজতের আবেদন করে পুলিশ।
পুলিশি হেফাজতের আবেদনের বিরোধিতা করে ধৃতদের আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। বারাসত আদালতের বিচারক সাত দিনের পুলিশি হেফাজত মঞ্জুর করেন। মৃতার পরিবার পুলিশকে জানিয়েছে, তাদের কাছে প্রতিনিয়ত হুমকি আসছে। বলা হচ্ছে, বিষয়টি মিটিয়ে নিতে। মৃতার মা বলেন, ‘‘আমার মেয়ের খুনিদের কঠোর সাজা চাই। মেয়েকে অত্যাচার করে মেরে ফেলেছে রেজ্জাক ডাক্তার। মামলা তুলে নিতে ওর লোকেরা আমাদের ভয় দেখাচ্ছে।’’
পুলিশ সূত্রের খবর, ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। যার ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। নাবালিকার দেহের ময়না তদন্ত হয়েছে। সেই রিপোর্ট হাতে এলেই বোঝা যাবে, মৃত্যু কী ভাবে হল।