ধৃত স্বর্ণদ্বীপ ভট্টাচার্য। — নিজস্ব চিত্র।
ক্যানসারের চিকিৎসার টাকা জোগাড় করতেই ডাকাতির ছক! নরেন্দ্রপুরের মিশনপল্লিতে বাড়িতে একলা বৃদ্ধকে হাত এবং মুখ বেঁধে ডাকাতির ঘটনার তদন্তে নেমে এমনই চমকপ্রদ তথ্য পেল পুলিশ। ওই ঘটনায় বৃদ্ধের গাড়িচালক-সহ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
শনিবার দিনেদুপুরে মিশনপল্লি এলাকার বাসিন্দা বৃন্দাবন সিংহের বাড়িতে ডাকাতির অভিযোগ ওঠে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ডাকাতির ঘটনার মূলচক্রী স্বর্ণদ্বীপ ভট্টাচার্য। তিনি বৃন্দাবনের গাড়িচালক। গত ১০ বছর ধরে বৃদ্ধের গাড়ি চালাচ্ছেন তিনি। স্বর্ণদীপ সোনারপুর এলাকার বাসিন্দা। তদন্তকারীদের মতে, গত ১০ বছর ধরে গাড়ি চালানোর সূত্রে বৃন্দাবনের অতি নিকটজন হয়ে উঠেছিলেন স্বর্ণদীপ। তিনি তাঁর স্ত্রী এবং সন্তানকেও বৃন্দাবনের বাড়িতে নিয়ে গিয়েছিলেন। কোনও বিপদে বা আর্থিক সমস্যায় পড়লে স্বর্ণদীপ সাহায্য চাইতেন বলেও তদন্তকারীরা জানিয়েছেন।
স্বর্ণদীপের আইনজীবীর দাবি, তিনি কিছু দিন আগে ক্যানসার আক্রান্ত হন। তাঁকে কেমোও নিতে হচ্ছে। সেই কারণে তাঁর টাকার প্রয়োজন ছিল বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। তাই বৃন্দাবনের থেকে তিনি টাকা চেয়েছিলেন। কিন্তু টাকা দিতে রাজি হননি তাঁরা। সম্প্রতি একটি নির্মাণকাজে হাত দিয়েছেন বৃন্দাবন। ফলে রাজমিস্ত্রির পাওনা মেটানোর জন্য কিছু টাকা রাখা ছিল বাড়িতে। যা জানতেন স্বর্ণদ্বীপ। এর পর স্বর্ণদীপ তাঁর এক বন্ধুকে সাথে নিয়ে ডাকাতির পরিকল্পনা করেন বলে তদন্তকারীদের মত। ওই ঘটনায় স্বর্ণদ্বীপ ছাড়া আরও তিন জন জড়িত বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই স্বর্ণদীপ ছাড়াও নাজমুল হোসেন শেখ নামে আরও এক জনকে ডাকাতির অভিযোগে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকিদের খোঁজে চলছে তল্লাশি।