গত বছর সুন্দরবনে ৫৫টি কুমির ছাড়া হয়েছিল। নিজস্ব চিত্র।
নতুন করে ৩৫টি প্রজননক্ষম কুমির ছাড়া হল সুন্দরবনে। সুন্দরবনের কলমি নদী, ভাইজোড়া খাল এবং লোথিয়ান দ্বীপের কাছে এই কুমিরগুলিকে ছাড়া হয়েছে। এর মধ্যে তিনটি পুরুষ কুমির এবং ৩২টি স্ত্রী কুমির রয়েছে বলেও বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।
যে কুমিরগুলি সোমবার ছাড়া হয়েছে তাদের আনুমানিক দৈর্ঘ্য চার ফুট। সোমবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডিএফও মিলন মণ্ডল, এডিএফও এবং রামগঙ্গার ফরেস্ট রেঞ্জ অফিসার তন্ময় চট্টোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে এই কুমিরগুলি ছাড়া হয়। এই প্রসঙ্গে বিভাগীয় বনাধিকারিক মিলন বলেন, ‘‘প্রতিবছর কুমিরের সংখ্যা কমতে থাকায় কুমির প্রতিপালন করে নদীতে ছাড়া শুরু হয়েছিল। এর ফলে কুমিরের সংখ্যা বেড়েছে। গত বছর সুন্দরবনে ৫৫টি কুমির ছাড়া হয়েছিল। এইবার ৩৫টি কুমির ছাড়া হল।’’
বন দফতরের সূত্রে খবর, ভগবৎপুর কুমির প্রকল্পে কুমিরের বাচ্চা হওয়ার পর সেগুলিকে প্রতিপালন করা হয়। সাধারণত কুমিরের বাচ্চাগুলির চার থেকে পাঁচ বছর বয়স হওয়ার পরই তাদের নদীতে ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একসময় সুন্দরবনের নদী এবং খাঁড়িতে নোনা জলের কুমিরের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ভাবে কমতে শুরু করে। সেই সংখ্যা বাড়াতেই প্রতিবছর সুন্দরবনের নদীগুলিতে কুমির ছাড়া শুরু করে বন দফতর।
১৯৭৬ সালে ভগবৎপুরে প্রথম কুমিরের ডিম ফুটিয়ে বাচ্চা প্রতিপালন করার প্রক্রিয়া শুরু হয়। ১৯৮২ সাল থেকে প্রতিবছরই সুন্দরবনের নদী ও খাঁড়িতে নোনা জলের কুমির ছাড়ছে বন দফতর।