Woman Trafficking

৬ মহিলাকে আগরায় পাচার! ৬ বছরের পুরনো মামলায় তিন জনকে কারাদণ্ড দিল ডায়মন্ড হারবার আদালত

২০১৭ সালে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুর থেকে এক মহিলাকে পাচারের অভিযোগ ওঠে। তদন্তে নেমে ওই মহিলা-সহ ৬ জনকে দিল্লির আগরা থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। গ্রেফতার হন মোট তিন জন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

ডায়মন্ড হারবার শেষ আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৫:৫০
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

৬ বছর ধরে মামলা চলছিল। অবশেষে নারী পাচার চক্রের মূল পাণ্ডা-সহ তিন জনকে দোষী সাব্যস্ত করল ডায়মন্ড হারবার এসিজেএম আদালত। দুই আসামির ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং এক জনকে ৭ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। শুক্রবার এই সাজা ঘোষণা করেন বিচারক চন্দ্রপ্রভা চক্রবর্তী।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনাটি ২০১৭ সালের। দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুর থানায় মহিলা পাচারের একটি অভিযোগ দায়ের হয়। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে মথুরাপুর থানার পুলিশ জানতে পারে পাচার হওয়া মহিলাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে আগরায়। সেখানে হানা দেয় রাজ্য পুলিশের একটি দল। শুধু মথুরাপুরের নিখোঁজ মহিলাই নন, উদ্ধার করা হয় আরও ৫ মহিলাকে। পাশাপাশি পাচার চক্রের মূল অভিযুক্ত ফারুক আলি গায়েন এবং তাঁর দুই সঙ্গী পিঙ্কি এবং মিনা সিংহকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই পাচার মামলায় গত বৃহস্পতিবার তিন জনকেই দোষী সাব্যস্ত করে ডায়মন্ড হারবার এসিজেএম আদালত। শুক্রবার দোষীদের সাজা ঘোষণার হয়। বিচারক মহিলা পাচার চক্রের মূল অভিযুক্ত ফারুক আলিকে পাচারের পাশাপাশি, ধর্ষণের অভিযোগেও দোষী সাব্যস্ত করেন। তাঁকে ১০ বছরের কারাদণ্ডের সঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি, অন্য দু’জনের মধ্যে মীনাকে ৭ বছর এবং পিঙ্কিকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয় আদালত।

পুলিশের তরফে জানানো হয়, ওই ফারুক আলি চাকরি-সহ বিভিন্ন প্রকারের লোভ দেখিয়ে, প্রতিশ্রুতি দিয়ে মহিলাদের পাচার করতেন। মহিলাদের দিল্লিতে নিয়ে যাওয়ার পর অভিযুক্তা পিঙ্কি তাঁদের নিজের কাছে রাখতেন। তিনি এর পর মীনা নামে আর এক অভিযুক্তের কাছে মহিলাদের বিক্রি করে দিতেন। পাচার করা ওই মহিলাদের এর পর দেহ ব্যবসার কাজে লাগানো হত।

Advertisement

এই রায় ঘোষণার পর অভিযুক্তদের আইনজীবীরা জানান, আদালতের রায় খতিয়ে দেখে বিচার চেয়ে তাঁরা উচ্চ আদালতের দারস্থ হবেন।

অন্য দিকে, সরকার পক্ষের আইনজীবী দেবরঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘নির্যাতিতাদের পরিবার এই সাজা ঘোষণার পর খুশি। তাঁদের বিচার পাইয়ে দেওয়াটা আমাদের কাছে বড় প্রাপ্তি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement