উদ্ধার হওয়া তক্ষণগুলির সঙ্গে ধৃতরা। — নিজস্ব চিত্র।
তক্ষক পাচার করতে গিয়ে বনদফতরের হাতে পাকড়াও হলেন এক মহিলা-সহ তিন জন। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ বারুইপুর ক্যানিং রোডের ফুলতলা এলাকা থেকে পাচারকারীদের ওই দলটিকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ছ’টি তক্ষক। তবে এর মধ্যে দুটি তক্ষককে মৃত অবস্থায় এবং চারটি তক্ষককে জীবিত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। তক্ষকগুলি বিদেশে পাচার করার পরিকল্পনা ছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান করা হচ্ছে।
বন দফতর জানিয়েছে, সম্প্রতি বন্যপ্রাণী পাচারচক্রের বিষয়ে তথ্য হাতে আসার পর পাচারকারীদের ধরতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছিল। সুন্দরবনের বিভিন্ন স্থানে গোপনে নজরদারি চলছিল। এর মধ্যেই গোপন সূত্রে বন দফতর জানতে পারে, একটি বাইকে করে তিন জন ঝুড়িতে তক্ষক নিয়ে পাচারের চেষ্টা করছে। বনকর্মীরা পাচারকারীদের হাতেনাতে পাকড়াও করতে ওত পেতে বসে ছিলেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে বারুইপুরের ফুলতলার কাছে তাপাচরকারীদের গ্রেফতার করেন বন দফতরের আধিকারিকরা। ঝুড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় তক্ষকগুলি।
ধৃতদের নাম আব্দুর রজ্জাক লস্কর, গিয়াসউদ্দিন মণ্ডল এবং রিনা লস্কর৷ এদের মধ্যে গিয়াস এবং রিনা কুলতলি থানার বাসিন্দা এবং রজ্জাক উস্তি থানার বাসিন্দা। মৃতদের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। তাঁদের জেরা করে এই পাচারচক্রের সঙ্গে যুক্ত বাকিদের খোঁজ পেতে চাইছে বন দফতর। তবে প্রাথমিক তদন্তে বন দফতরের অনুমান, তক্ষকগুলিকে বিদেশে পাচার করার ছক কষেছিল পাচারকারীরা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভাগীয় বন আধিকারিক মিলন মণ্ডল বলেন, ‘‘গোপন সূত্রে খবর পেয়েই তল্লাশি চালিয়ে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গোটা চক্রটাকেই পাকড়াও করার চেষ্টা চলছে।’’