—প্রতীকী চিত্র।
একটি সংস্থায় দুই বন্ধু গাড়ি চালাতেন। কাজের বাইরে এক সঙ্গে ঘোরাঘুরি, গল্প-আড্ডাও চলত। শেষ পর্যন্ত দু’জনের মৃত্যুও হল এক সঙ্গে। রবিবার ভোরে, মোটরবাইকের সঙ্গে মুরগি বোঝাই গাড়ির মুখোমুখি ধাক্কায় মৃত্যু হয় তাঁদের। ঘটনাটি ঘটেছে অশোকনগর থানার খোশদেলপুর এলাকায় যশোর রোডে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত যুবকদের নাম অপূর্ব বিশ্বাস (২২) ও অসীম ব্যাপারী (২৩)। অপূর্বের বাড়ি স্থানীয় মানিকতলায়। অসীমের বাড়ি পাশের কাঞ্চনপল্লি এলাকায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মানিকতলা এলাকার এক বাসিন্দা শনিবার হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। অপূর্ব বন্ধুকে মোটরবাইকে চাপিয়ে শ্মশানে সেই ব্যক্তির দাহকাজে গিয়েছিলেন। ফেরার পথে খোশদেলপুর এলাকায় চা খেয়ে তাঁরা যশোর রোড ধরে ফিরছিলেন। সেই সময়ে মুরগি বোঝাই গাড়িটি হাবড়ার দিক থেকে বারাসতের দিকে যাচ্ছিল। মোটরবাইকের সঙ্গে গাড়ির মুখোমুখি ধাক্কায় দুই বন্ধু ছিটকে পড়েন। বারাসত জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক দু’জনকেই মৃত বলে জানান।
অপূর্বের পরিবারে রয়েছেন মা, বাবা ও ভাই। বাবা রাজমিস্ত্রির জোগাড়ে। অপূর্বের পিসি বলেন, ‘‘খোশদেলপুর এলাকায় যান নিয়ন্ত্রণের কোনও ব্যবস্থা নেই। গার্ডরেল নেই। ফলে গাড়ি এখানে বেপরোয়া গতিতে ছুটে চলে। ফলে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে।’’ অসীমেরা দুই ভাই। বাবা শঙ্কর কাঠের কাজ করেন। ভাইয়ের কথায়, ‘‘দাদার ইচ্ছে ছিল, আমি পড়াশোনা করে নিজের পায়ে দাঁড়াব। দাদা নেই ভাবতেই পারছি না।’’
দুই তরুণের মৃত্যুর পরে স্থানীয়েরা ফের যশোর রোড চওড়া করার দাবি তুলেছেন। তাঁরা জানান, দত্তপুকুর থেকে বনগাঁ পর্যন্ত যশোর রোড এতটাই সঙ্কীর্ণ যে, দু’টি বড় ট্রাকও পাশাপাশি যেতে পারে না। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, ‘‘যশোর রোড সম্প্রসারণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। দ্রুত পদক্ষেপ করা হবে।’’