—প্রতীকী চিত্র।
আচমকাই বিকট শব্দ। চমকে গিয়েছিলেন আশপাশের লোকজন। প্রতিবেশীরা বেরিয়ে দেখেন, বাড়ি থেকে হাত-পা ও মুখ ঝলসানো অবস্থায় বেরিয়ে আসছেন দু’জন। আহতদের নাম শেখ নিশান (৪২) ও মহম্মদ নঈম (৫২)। তাঁদের পরিজনেরা ঘটনাটিকে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ বলে দাবি করলেও স্থানীয় সূত্রের খবর, ওই বাড়িতে বোমা বাঁধা হচ্ছিল। তা থেকেই বিস্ফোরণ। বুধবার বিকেলে, কামারহাটির ঘটনা।
কামারহাটির ৫৪ নম্বর ধোবিয়া বাগানে ঘটনাটি ঘটেছে। বসতি এলাকার মধ্যে কী ভাবে বোমা বাঁধা হচ্ছিল, প্রশ্ন উঠেছে। প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়েরা। দিনকয়েক আগে স্থানীয় বিধায়ক মদন মিত্রও এলাকায় অসামাজিক কাজকর্ম ও দুষ্কৃতী-রাজ নিয়ে সরব হয়েছিলেন। তার পরেই এই ঘটনা। ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক পুলিশকর্তার কথায়, ‘‘ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’ সূত্রের খবর, ওই বাড়ি থেকে বোমার মশলা ও সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পুলিশের অনুমান, কোনও ভাবে মাটিতে ঢেলে রাখা বারুদ আগুনের সংস্পর্শে চলে আসায় বিস্ফোরণ ঘটে। বোমা বাঁধার সময়েই হাতে-পায়ে মশলা লেগেছিল আহত দু’জনের। তাতে তাঁরা আরও জখম হন।
আহত দু’জনকেই প্রথমে কামারহাটির সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাতে নিশানকে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। স্থানীয় সূত্রের খবর, বিকেলে আচমকাই বিকট শব্দ শোনা যায় নিশানদের ঘর থেকে। তাঁদের আত্মীয় মুবারক হুসেন বলেন, ‘‘আওয়াজ শুনে গিয়ে দেখি, চার দিক ধোঁয়ায় ভর্তি। সিলিন্ডার ফেটেই এমনটা হয়েছে।’’ এ নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে রাজি হননি কোনও বাসিন্দা। সকলেই শুধু বলেছেন, ‘‘আওয়াজ শুনে বেরিয়ে এসে দু’জনকে জখম অবস্থায় দেখেছি। এর বেশি জানি না।’’
খবর পেয়ে আশপাশের থানার পুলিশবাহিনী, সহকারী নগরপাল, দমকলের ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। যে ঘরে বোমা বাঁধা হচ্ছিল, সেটি সিল করে দেয় পুলিশ। স্থানীয় পুরপ্রতিনিধি মেহেদি ইমাম বলেন, ‘‘সমাজবিরোধীদের প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। বিধায়ক, সাংসদও পুলিশের মাধ্যমে এলাকা দুষ্কৃতীমুক্ত রাখার চেষ্টা চালাচ্ছেন।’’