সাহিদ গাজি
স্ত্রী নিখোঁজ বলে থানায় অভিযোগ জানাতে গিয়েছিল স্বামী। এ দিকে, ততক্ষণে স্ত্রীর গলায় ফাঁস দেওয়া দেহ ভেসে উঠেছে বাড়ির কাছে পুকুর থেকে। এই ঘটনায় স্বামী সাহিদ গাজিকে আগে আটক করেছিল পুলিশ। পরে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ জানায়, সালমা খাতুন (২০) নামে ওই তরুণীকে খুনের অভিযোগে তাঁর শ্বশুর কাসেম শেখ এবং শাশুড়ি নাসিমা বিবিকেও শনিবার রাতে গ্রেফতার করা হয়েছে। খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বসিরহাট থানার উত্তর কোদালিয়া গ্রামে বাড়ি সাহিদদের। অভিযোগ, সে ও তার বাড়ির লোক সালমার উপরে নির্যাতন করত। গ্রামবাসী ও মৃতার পরিবার জানান, একাধিকবার বিষয়টি নিয়ে গ্রামে সালিশি করেও সমাধান হয়নি।
সাহিদ মুম্বইয়ে গাড়ি চালানোর কাজ করে। দিন কয়েক আগে বাড়ি ফেরে। তারপরে স্ত্রীর উপর অত্যাচার আরও বাড়ে বলে অভিযোগ। পুলিশ জানায়, জেরার মুখে নাসিমা বিবি বৌমাকে খুনের কথা স্বীকার করেছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, এক দিকে যৌতুকের টাকা অন্য দিকে সাহিদের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে গন্ডগোল হত। গত শুক্রবার রাতেও শাহিদ ও সালমার মধ্যে গন্ডগোল বাধে। মারধর করা হয় সালমাকে। তা প্রতিবেশীরাও জানেন। এরপরেই ওই তরুণীকে শ্বাসরোধ করে খুন করে দেহ পুকুরে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। জেরায় সাহিদ সে কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।