পঞ্চায়েতটি ছিল সিপিএমের অধীনে। কিন্তু সদস্যেরা তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় সন্দেশখালির ২ ব্লকের খুলনা পঞ্চায়েত সিপিএমের হাতছাড়া হল। বিরোধীশূন্য পঞ্চায়েত গড়তে চলেছে তৃণমূল।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হিঙ্গলগঞ্জের বিধায়ক তৃণমূলের দেবেশ মণ্ডল দলীয় পতাকা তুলে দেন ওই পঞ্চায়েতের প্রধান শান্তা পাত্র, উপপ্রধান সুধাংশু বিশ্বাস-সহ ৮ সিপিএম সদস্যের হাতে। সিপিআইয়ের ১ জন এবং বিজেপির ২ জন সদস্যও দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।
ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, খুলনা পঞ্চায়েতে মোট সদস্য সংখ্যা ১৩টি। সিপিএম ৮টি, সিপিআই ১টি এবং তৃণমূলে ও বিজেপি ২টি করে আসনে জয়ী হয়েছিল। প্রধান হন সিপিএমের শান্তা পাত্র। তিিন বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নমূলক কাজে সামিল হয়ে মানুষের জন্য আরও ভাল কাজ করতে চাই। সে কারণে তৃণমূলে যোগ দিলাম।’’
তবে ওই গ্রামের বাসিন্দা সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদ সর্দার বলেন, ‘‘ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকে খুলনা এলাকায় একতরফা এবং লাগাতার সন্ত্রাস চালিয়েছে তৃণমূল। ভয় দেখিয়ে, জোর করে খুলনা পঞ্চায়েতের সদস্যদের সাদা কাগজে পদত্যাগ পত্র পর্যন্ত লিখিয়ে নিয়েছে। সে কারণেই তৃণমূলে যোগ দিতে বাধ্য হয়েছে বাম সদস্যেরা।’’
এই অভিযোগ অস্বীকার করে হিঙ্গলগঞ্জের বিধায়ক তথা তৃণমূল নেতা দেবেশ মণ্ডল বলেন, ‘‘এত দিন মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়ন সামিল হতে না পেরে বাম ও বিজেপি সদস্যেরা অনুতপ্ত ছিলেন। সে কারণে দ্বিতীয়বার তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে বাম ও বিজেপি সদস্যরা তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।’’