Death

Death: নিজস্বী তুলতে গিয়ে খালের জলে তলিয়ে গিয়ে মৃত্যু তিলজলার স্কুলপড়ুয়ার

পুলিশ জানিয়েছে, কলকাতার তিলজলা এলাকার বাসিন্দা ওই স্কুলপড়ুয়ার নাম বাবাই দাস (১৮)। শহরের আদি বালিগঞ্জ হাইস্কুলে একাদশ শ্রেণিতে পড়তেন তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বারুইপুর শেষ আপডেট: ১৭ অক্টোবর ২০২১ ১৮:০৪
Share:

বাবাই দাস। —নিজস্ব চিত্র।

বন্ধুদের সঙ্গে নিজস্বী তুলতে গিয়ে খালের জলে তলিয়ে গিয়ে মৃত্যু হল এক স্কুলপড়ুয়ার। পুজোর পর বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন তিনি। বন্ধুদের দাবি, রবিবার সকালে একসঙ্গে নিজস্বী তোলার সময় আচমকাই খালে পড়ে গিয়ে বিপর্যয় ঘটে। খবর পেয়ে খালে তল্লাশির পর তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, কলকাতার তিলজলা এলাকার বাসিন্দা ওই স্কুলপড়ুয়ার নাম বাবাই দাস (১৮)। শহরের আদি বালিগঞ্জ হাইস্কুলে একাদশ শ্রেণিতে পড়তেন তিনি। রবিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরে মল্লিকপুর এলাকার আখনায় একটি খালে পড়ে বাবাইয়ের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি তাঁর বন্ধুদের। ইতিমধ্যেই তাঁর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

Advertisement

বাবাইয়ের খোঁজে চলছে তল্লাশি। —নিজস্ব চিত্র।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার মল্লিকপুরে নবি আখতার নামে এক বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন বাবাই। রবিবার সকালে নবি ও তাঁর ভাইয়ের সঙ্গে আখনার ঝিলের কাছে ঘুরতে গিয়েছিলেন তিনি। বন্ধুদের দাবি, পাওয়ার গ্রিডের কাছে ওই ঝিলের পাড়ে দাঁড়িয়ে নিজস্বী তুলছিলেন তাঁরা তিন জন। সে সময় আচমকাই পা পিছলে খালে পড়ে যান বুবাই। খালটি বেশ গভীর হওয়ায় নিমেষেই তলিয়ে যান তিনি। খালে ঝাঁপ দিয়েও বন্ধুকে খুঁজে পাননি নবিরা। তাঁদের চিৎকার শুনে ঝিলের পাড়ে ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। উদ্ধারকাজে নামেন এলাকার মৎস্যজীবীরাও। খবর পেয়ে বারুইপুর থানার পুলিশ এবং মল্লিকপুর ক্যাম্প থেকে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। দীর্ঘক্ষণের চেষ্টার পর বাবাইয়ের দেহ উদ্ধার না হওয়ায় নামানো হয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল। ঘটনার প্রায় পাঁচ ঘণ্টা পর ওই ছাত্রের দেহ উদ্ধার করেন স্থানীয় মৎস্যজীবীরা। মৃতের পরিবারের সদস্যদের কাছে খবর পাঠিয়েছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, কয়েক বছর আগে ওই পড়ুয়ার বাবা মারা গিয়েছেন৷ মা মুন্নি দাস পরিচারিকার কাজ করেন। দু’ভাইয়ের মধ্যে বাবাই ছোট।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement