ভিড় আছে, আছে রংও। নিজস্ব চিত্র।
ইন্দ্রনীল সেনের গানের পর সমাবেশ শুরু হল সুব্রত বক্সির ভাষণ দিয়ে।
২১ জুলাইয়ের জনসভায় যোগ দিতে অভিনব পোশাক পরে ধর্মতলার উদ্দেশে রওনা দিলেন ডানকুনি টোলপ্লাজার কর্মীরা। দুর্গাপুর এক্সপ্রেস হাইওয়ের উপর ডানকুনি টোল প্লাজায় ১৬৬ জন কর্মী রয়েছেন। তার মধ্যে ১৩০ জন কর্মী বৃহস্পতিবার ধর্মতলার উদ্দেশে রওনা দেন। তাঁদের প্রত্যেকের পরনে নীল পাঞ্জাবি এবং সাদা পায়জামা।
নিজস্ব চিত্র।
সমাবেশ মঞ্চ থেকে ভিড়ের উদ্দেশে নির্দেশ আসছে নেতৃত্বের তরফে। পাশাপাশি দলের হিন্দি গান ‘তৃণমূল জানসে প্যায়ারা’-য় গমগম করছে ধর্মতলার চত্বর। মাথা দোলাচ্ছেন উপস্থিত সমর্থকের দল।
হুগলির চুঁচুড়া থেকে জলপথে ধর্মতলা রওনা দিলেন এক ঝাঁক তৃণমূল কর্মী। বৃহস্পতিবার চুঁচুড়ার ফেরিঘাট থেকে লঞ্চে করে ধর্মতলায় সভাস্থলের উদ্দেশে যাত্রা করেন তাঁরা। এ ছাড়াও হুগলি জেলার বিভিন্ন রেলস্টেশন থেকে ট্রেনে চড়ে ধর্মতলার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন বহু তৃণমূল কর্মী। পাশাপাশি সড়কপথেও রওনা দিয়েছেন অনেকে। ডানকুনিতে তৃণমূলের তরফে সহায়তা শিবির করা হয়েছে।
নিজস্ব চিত্র।
স্লোগান তুলে ভিড় করে মিছিল চলেছে ধর্মতলার ২১ জুলাই মঞ্চের দিকে। মুখ্যমন্ত্রী এবং দলের নামে জয়ধ্বনি তোলা মানুষের ঢলে উৎসবের আমেজ। দলনেত্রীর ছবি গলায় টাঙিয়েও সমাবেশের দিকে এগোতে দেখা গেল সমর্থকদের।
নিজস্ব চিত্র।
বৃহস্পতিবার বেলা একটু বাড়তেই ভিড় আরও বাড়ছে ধর্মতলা চত্বরে। চারিদিকে মানুষের ঢল। বিভিন্ন জেলা থেকে বাসে-ট্রেনে আসা ভিড়ও জমতে শুরু করেছে সভাস্থলের কাছে। এমনকি, লঞ্চে চেপেও মানুষ আসছেন ২১ জুলাইয়ের সমাবেশে।
নিজস্ব চিত্র।
আর্মহার্স্ট স্ট্রিট, বিধান সরণি (কে সি সেন স্ট্রিট থেকে বিবেকানন্দ রোড), কলেজ স্ট্রিট, ব্রাবোর্ন রোড, স্ট্র্যান্ড রোড (হেয়ার স্ট্রিট থেকে রাজা উডমান্ট স্ট্রিট), বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিট, বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট, নিউ সিআইটি রোড, রবীন্দ্র সরণি (বি কে পাল এভিনিউ থেকে লালবাজার স্ট্রিট) দিয়ে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট দিয়ে সভাস্থলে প্রবেশ করার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বাস-মেট্রো-ট্রেনে করে মানুষের ঢল আসছে সমাবেশ কেন্দ্রের দিকে।
কড়া নিরাপত্তার চাদরে ঘিরে ফেলা হয়েছে ধর্মতলা চত্বর। কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশের কড়া নজরদারির পাশাপাশি মোতায়েন করা হয়েছে বম্ব স্কোয়াডকেও। একই সঙ্গে পুলিশ কুকুর এবং ড্রোন দিয়েও নজরদারি চালানো হচ্ছে সমাবেশ চত্বরে।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ২১ জুলাই-এর সমাবেশের দিকে উপচে পড়া ভিড়। কবি সুভাষগামী এবং দমদমগামী মেট্রোতে দিনের প্রথম মেট্রোতেই চোখে পড়ার মতো ভিড় লক্ষ্য করা গেল। ভিড় দেখা গিয়েছে শিয়ালদহ এবং হাওড়া স্টেশন চত্বরেও। কলকাতার বিভিন্ন জায়গা থেকে মিছিল করে ইতিমধ্যেই লোক আসতে শুরু করেছে সমাবেশস্থলের দিকে।
এ বছরের দৃশ্য আলাদা। অতিমারির চরিত্রগত কারণেই হোক বা টিকাকরণের সুবাদে, করোনা নিয়ে চিন্তা খানিকটা হলেও কমেছে। তাই চেনা ছকেই মঞ্চ তৈরি হয়েছে ধর্মতলা চত্বরে। বিভিন্ন জেলার নেতা-কর্মীরা এক বা দু’দিন আগে থেকেই কলকাতায় এসে ভিড় করেছেন। বছরের এই নির্দিষ্ট দিনটিতে দলনেত্রীকে একদম সামনে থেকে দেখতে পারেন বিভিন্ন জেলার সেই সমস্ত কর্মী, যাঁরা মঞ্চের কাছাকাছি থাকতে পারেন।
বৃহস্পতিবারের সভার আঁচ মঙ্গলবার থেকেই টের পাওয়া যাচ্ছিল। বিভিন্ন জেলা থেকে বেসরকারি বাসে চড়ে কলকাতায় এসেছেন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরা। অনেক বাসের ছাদেও মানুষের ভিড়। পাশাপাশি, কলকাতার মেট্রো এবং হাওড়া ও শিয়ালদহমুখী ট্রেনে সকাল থেকেই ভিড়।
১৯৯৩ সালের ২১ জুলাই রাজ্য যুব কংগ্রেসের নেত্রী মমতার আহ্বানে সচিত্র ভোটার পরিচয়পত্রের দাবিতে ‘মহাকরণ অভিযানে’ নেমেছিল যুব কংগ্রেস। সেই আন্দোলনে কলকাতার রাস্তায় পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছিলেন ১৩ জন যুব কংগ্রেসকর্মী। তাঁদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই ২১ জুলাই ‘শহিদ সমাবেশ’ করে তৃণমূল।