শেখ শাহনওয়াজ এবং (ডান দিকে) অভিজিত্ সিংহ। —নিজস্ব চিত্র।
‘ভোট-পরবর্তী হিংসা’ মামলায় সিবিআইয়ের সঙ্গে সহযোগিতার দাবি করলেন অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত তৃণমূলের দুই বিধায়ক। শনিবার দুর্গাপুরে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার অস্থায়ী শিবির থেকে বেরিয়ে তাঁরা জানালেন, সিবিআই তলব করলে আবারও আসবেন।
এই মামলায় শনিবার সকালে অনুব্রতর পর সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়েছেন লাভপুরের বিধায়ক অভিজিত্ সিংহ ওরফে রানা এবং কেতুগ্রামের বিধায়ক শেখ শাহনওয়াজ। দুর্গাপুরের এনআইটি-তে সিবিআইয়ের অস্থায়ী শিবিরে তলব করা হয়েছিল কেষ্ট-ঘনিষ্ঠ এই দু’জনকে। সকালে সেখানে আসার পর ঘণ্টা দেড়েক ধরে চলে জিজ্ঞাসাবাদ।
সিবিআই সূত্রে খবর, বিজেপি কর্মী গৌরব সরকারের খুনের মামলায় হাজিরা দেওয়ার জন্য তৃণমূল বিধায়কদের নোটিস পাঠানো হয়েছে। যদিও দুই বিধায়কেরই দাবি ছিল, কী বিষয়ে তলব করা হয়েছে, তা সিবিআইয়ের তরফ থেকে তাঁদের জানানো হয়নি। গোয়েন্দাদের মুখোমুখি হওয়ার আগে অভিজিৎ বলেছিলেন, ‘‘সিবিআই আমাকে ডেকেছে। এক জন কর্তব্যনিষ্ঠ নাগরিক হিসাবে যাচ্ছি।’’
এই মামলার তদন্তে সব রকম সহযোগিতা করবেন বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব শেষে একই সুর শোনা যায় অভিজিতের কণ্ঠে। তাঁর দাবি, ‘‘তৃণমূল হিংসায় বিশ্বাসী নয়। সিবিআই যত বার ডাকবে, তত বারই সহযোগিতা করব।’’
সূত্রের দাবি, শাহনওয়াজের কল লিস্ট-এর তালিকায় দেখা গিয়েছে যে গত বছরের ২ মে বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার দিন অনুব্রতকে ফোন করেছিলেন তিনি। শনিবার সে সংক্রান্ত প্রশ্নও করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন শাহনওয়াজ। তিনি বলেন, ‘‘সিবিআই জানতে চেয়েছিল, বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে কী কারণে ফোন করেছিলাম? ভোটের রেজাল্ট জানাতে ফোন করেছিলাম বলে সিবিআইকে জানিয়েছি।’’
প্রসঙ্গত, এই মামলায় দিন কয়েক আগেই তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রতকে সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই। তাঁকে প্রায় সাড়ে ৫ ঘণ্টার ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআই আধিকারিকেরা। এর আগেও দুর্গাপুরের এনআইটি-র ক্যাম্পাসে বীরভূম এবং বর্ধমানের প্রায় আট জন বিধায়ক ও ব্লক সভাপতি-সহ তৃণমূল নেতা-কর্মীদের তলব করেছিল সিবিআই।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।