সজল বিশ্বাস এবং শ্রীবাস ঘোষ। নিজস্ব চিত্র
টাউটের পর থেকে নিখোঁজ নদিয়ার দুই যুবক। এঁদের মধ্যে একজন জাহাজ সংস্থায় ক্যাটারিংয়ের কাজ করতেন। অন্যজন ওএনজিসির কর্মী। কর্মসূত্রে দু’জনেরই ঘটনার সময় আরবসাগরে জাহাজে ছিলেন। পরিবারকে সে কথা জানিয়েও ছিলেন তাঁরা। টানা পাঁচদিন তাঁদের সঙ্গে কোনওরকম যোগাযোগ করতে না পেরে দুই পরিবারই পুলিশের কাছে নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করেছে।
নিখোঁজ দুই যুবকের নাম শ্রীবাস ঘোষ এবং সজল বিশ্বাস। পুলিশ জানিয়েছে, দুই যুবকের সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করেও তাঁদের ব্যাপারে কোনও আশাব্যাঞ্জক তথ্য আসেনি। আপাতত জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে বিষয়টি রাজ্যস্তরে জানানো হচ্ছে।
কোতোয়ালি থানার জাহাঙ্গিরপুরে বাড়ি শ্রীবাসের। বছর চারেক আগে জাহাজে ক্যাটারিংয়ের কাজে তিনি মুম্বইয়ে যান। গত ১৫মে অর্থাৎ রবিবার সন্ধ্যায় বাড়িতে শেষবার ফোন করেছিলেন। তারপর থেকে আর তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তাঁর মা আরাধনা জানিয়েছেন, ফোনে শ্রীবাস সমুদ্রের পরিস্থিতির কথা জানিয়েছিলেন। এমনকি জাহাজে জল ঢুকে গিয়েছে। আগুন লেগেছে, বলেও বাড়িতে জানান তিনি। পরে এক আত্মীয়াকে মেসেজে লেখেন, ‘‘আমাদের ক্যাপ্টেন জলে ঝাঁপ মারতে বলেছে। ঝড় থামছে না। জাহাজের সকলেই এ নিয়ে খুব চিন্তিত।’’
অন্যদিকে তেহট্টের বাঘাখালির ২৮ বছরের যুবক সজল জাহাজডুবিতে নিখোঁজ হয়েছেন বলে আশাঙ্কা করছে তাঁর পরিবার। মুম্বইয়ের ওএনজিসির এক সংস্থায় কর্মরত ছিলেন তিনি। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৮ মে শেষ কথা হয় তার মায়ের সঙ্গে । ভিডিও কলে কথা বলেন তিনি। মা ছন্দা বিশ্বাসের কথায়, ‘‘সেই দিন ভিডিও কল করেছিল, দেখিয়েছিল সেই দিনের দৃশ্য। প্রচণ্ড বৃষ্টি ও ঝড় হচ্ছিল। তারপর থেকে আর যোগাযোগ করতে পারিনি ওর সঙ্গে।’’
এর পরই ২২ শে মে মুম্বই থেকে ফোন আসে বাড়িতেজানানো হয় প্রয়োজনীয় নথিপত্র নিয়ে পরিবারের সদস্যদের মুম্বইয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরে যেতে। রবিবার মুম্বইয়ে রওনা দেন সজলের বাবা। যদিও এখনও পর্যন্ত ঠিক কী ঘটেছে, জানানো হয়নি পরিবারকে।