আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন সুমন মুন্ডা। —নিজস্ব চিত্র।
সেপটিক ট্যাঙ্ক পরিষ্কারের কাজে নেমে বিষাক্ত গ্যাসে মৃত্যু হল রায়দিঘির মুন্ডাপাড়ার সাঁওতাল পরিবারের ২ যুবক। আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন আরও ১। অভিযোগ, বেআইনি ভাবে সেপটিঙ্ক ট্যাঙ্ক পরিষ্কারের ঠিকা নিয়েছিলেন ১ ব্যক্তি। শুক্রবার এই অভিযোগে ওই ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, নিহতেরা হলেন মহাদেব মুন্ডা (২২) এবং পুতুল মুন্ডা (২৩)। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, করোনার আবহে কাজ হারিয়েছিলেন এলাকার সাঁওতাল পরিবারের বেশ কয়েক জন যুবক। সংসার চালাতেই সেপটিক ট্যাঙ্ক পরিষ্কারের কাজে নামেন তাঁরা।
পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার দুপুরে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কুমোরপাড়ার বাসিন্দা সুরজিৎ হালদারের বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্ক পরিষ্কারের কাজে করতে গিয়েছিলেন মহাদেব, পুতুল-সহ সুমন মুন্ডা নামে ৩ সাঁওতাল যুবক। ট্যাঙ্কের ঢাকনা খুলে প্রথমে ভিতরে নামেন মহাদেব এবং পুতুল। তবে অনেকক্ষণ তাঁদের কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে ট্যাঙ্কের ভিতরে উঁকি মারেন সুমন। ট্যাঙ্কের বিষাক্ত গ্যাস তাঁকেও গ্রাস করে। ছটফট করতে করতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। ততক্ষণে বিষাক্ত গ্যাসে ট্যাঙ্কের ভিতরেই নিস্তেজ হয়ে পড়েন মহাদেব এবং পুতুল।
ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয়রা ছুটে এসে ৩ জনকে উদ্ধার করেন। এর পর রায়দিঘি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মহাদেব এবং পুতুলকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। শুক্রবার বিকেলে সুমনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
রায়দিঘি এলাকায় বেআইনি ভাবে সেপটিক ট্যাঙ্ক পরিষ্কারের ঠিকা নেওয়ার অভিযোগে সুরঞ্জন চৌধুরী নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।