অভিযোগ, বাড়িতেই মজুত করা ছিল বোমা। প্রতীকী ছবি।
মিনাখাঁ, টিটাগড়ের পরে বীরভূমের মাড়গ্রাম। বোমা ফেটে জখম হল দুই বালক। অভিযোগ, বাড়িতেই মজুত করা ছিল বোমা। শুক্রবার দুপুরে মাড়গ্রামের একডালা গ্রামের ঘটনা। পুলিশ জানায়, আহত দুই বালকের নাম রোহন শেখ ও সোহন শেখ। দু’জনেরই বয়স আট। সোহনের বাড়ি একডালাতেই। রোহনের বাড়ি নলহাটি থানার গোবিন্দপুরে। দিন কয়েক আগে সে মামাবাড়ি বেড়াতে এসেছিল। ওই দুই বালকের দাদু, বাড়ির মালিক জামারুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনি এলাকায় তৃণমূল কর্মী হিসাবে পরিচিত।
পুলিশ জানায়, জামারুলের পুরনো মাটির বাড়ির তিন তলার চিলেকোঠায় বিস্ফোরণ ঘটে। আহত দুই বালক বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি। দু’জনের শরীরেই স্প্লিন্টারের আঘাত রয়েছে। রাতেই অস্ত্রোপচার করার যাবতীয় প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জানান বর্ধমান মেডিক্যালের সুপার তাপস ঘোষ।
এ দিন গ্রামে গিয়ে দেখা গেল, বিস্ফোরণে বাড়ির একাংশে ফাটল ধরেছে। ঘটনার অনেক ক্ষণ পরেও বারুদের গন্ধ। সোহনের মা দাবি করেন, বিয়ে বাড়ির জন্য চকলেট বোমা রাখা ছিল। তা নিয়ে খেলতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটে। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক জানান, বাড়িতে রাখা পুরনো বোমা ফেটেই ঘটনাটি ঘটেছে বলে অনুমান। জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী বলেন, ‘‘বিস্ফোরক আইনে মামলা রুজু করে এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’’
বগটুই হত্যাকাণ্ডের পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলায় মজুত বোমা উদ্ধারের নির্দেশ দিয়েছিলেন। গত কয়েক মাসে পুলিশি অভিযানে বীরভূমের নানা প্রান্ত থেকে বারবার তাজা বোমা উদ্ধার হয়েছে। কিন্তু তলায় তলায় যে বোমা মজুত হয়েই চলেছে, তা এ দিনের ঘটনায় ফের প্রমাণিত হল বলে দাবি বিরোধীদের।