প্রতীকী ছবি।
এক দিন হল, কিশোর ছেলের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। শুক্রবার তার দেহ মিলল শক্তিগড় স্টেশন সংলগ্ন এলাকায়। পুলিশের কাছে নিহতের মায়ের অভিযোগ, ছেলের প্রেমিকা ও তার বাবা মিলেই খুন করেছেন কিশোরকে। মহিলার দাবি, এর আগেও তাঁর ছেলেকে খুনের হুমকি দিয়েছিলেন কিশোরের প্রেমিকার বাবা। এক বার নয়। একাধিক বার। পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড়ের বাসিন্দা ওই মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁর কিশোর ছেলের ‘প্রেমিকা’-র বাবাকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার সন্ধ্যায় শক্তিগড় থানার সন্তোষপুরের বাসিন্দা শেখ রফিক (১৭)-এর দেহ উদ্ধার করেছে জিআরপি। রেল স্টেশন সংলগ্ন ১ নম্বর কেবিনের পাশে রফিকের দেহ পড়েছিল বলে জানিয়েছেন জিআরপি আধিকারিকেরা। পরিবারের দাবি, বৃহস্পতিবার থেকেই নিখোঁজ ছিল রফিক। বহু খোঁজাখুঁজির পরেও তার হদিশ পাওয়া যায়নি। নিহতের মা সমীরা বিবির অভিযোগ, ছেলের প্রেমিকা ও তার বাবা মিলেই খুন করেছে কিশোরকে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে কিশোরের ‘প্রেমিকা’-র বাবা তথা পাশের গ্রাম মোল্লাপাড়ার বাসিন্দা শেখ আমিরকে আটক করা হয়েছে। ডিএসপি (হেড কোয়ার্টার্স) অতনু ঘোষাল বলেন, ‘‘শেখ রফিকের মা সমীরা বিবির অভিযোগের ভিত্তিতে মোল্লাপাড়ার বাসিন্দা শেখ আমিরকে আটক করা হয়েছে। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে শক্তিগড় থানার পুলিশ।’’
নিহতের পরিবারের সদস্যদের দাবি, শুক্রবার সন্ধ্যায় রফিকের বাড়িতে ফোন করে তার প্রেমিকা। রফিকের খোঁজখবরও নেয় সে। তবে এর পরেই জিআরপি-র তরফে তাঁরা রফিকের দেহ উদ্ধারের খবর পান। তাঁদের আরও দাবি, থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে প্রথমে তা নিতে অস্বীকার করে শক্তিগড় থানার পুলিশ। এমনকি, রফিকের প্রেমিকার বাড়ির চার দিক ব্যারিকেড করে রাখে তারা। এলাকাবাসীদের অভিযোগ, বালি ব্যবসায়ী শেখ আমিরের সঙ্গে দহরম মহরম থাকায় প্রথমে খুনের অভিযোগ নিতে চায়নি পুলিশ। রফিকের খুনের অভিযোগ দায়ের করার দাবিতে রাস্তা অবরোধেও শামিল হন এলাকার মানুষজন। থানা ঘেরাও করে চলে বিক্ষোভ। এলাকায় মোতায়েন করা হয় র্যাফ-সহ পুলিশ বাহিনী। পরে অভিযোগ দায়ের করে শক্তিগড় থানার পুলিশ। পরিবারের দাবি, সঠিক তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে।