প্রতীকী ছবি।
অসমের গোয়ালপাড়ায় নির্মীয়মান ডিটেনশন শিবির দেখতে এসে অসম-বাংলা সীমানায় গ্রেফতার হলেন মানবাধিকার সংগঠনের ১৭ জন প্রতিনিধি। অসম পুলিশ জানায়, দু'দিন আগে খবর এসেছিল পশ্চিমবঙ্গ ও দিল্লি থেকে সংখ্যালঘু সংগঠনের প্রতিনিধিরা অসমের গোয়ালপাড়া জেলায় নির্মীয়মান ডিটেনশন সেন্টার দেখতে আসবেন। তাঁরা বিজেপি সরকারের দমননীতি নিয়েও মুখ খুলতে পারেন। সেই খবর আসতেই বাংলা সীমান্তে থাকা কোকরাঝাড় ও গোয়ালপাড়া জেলায় ১৪৪ ধারা লাগু করা হয়েছিল।
আজ আলিপুরদুয়ারের বারবিশা থেকে কোকরাঝাড় জেলার শ্রীরামপুর সীমানায় ঢোকে ‘খোদা-ই-খিদমতগার’ নামে সংগঠনের বাসটি। কোকরাঝাড়ের এসপি রাকেশ রোশন জানান, ‘সংবিধান বাঁচাও, নাগরিকত্ব বাঁচাও, ভারত বানাও যাত্রা’ লেখা ব্যানার-সহ বাসটি অসমে ঢোকার পরে তাদের জানানো হয়, এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। গোয়ালপাড়া যাওয়া চলবে না। কিন্তু বাধা না মেনে জোর করে এগোনোর চেষ্টা করলে ১৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাঁদের ব্যক্তিগত বন্ডে মুক্তি দিয়ে সীমানা পার করিয়ে পশ্চিমবঙ্গে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ও আরও কয়েকটি সংগঠনের প্রতিনিধি ছাড়াও ওই দলে জামিয়া মিলিয়া থেকে আসা এক প্রতিনিধিও ছিলেন। রাকেশ জানান, সিএএ বিরোধী আন্দোলনে রাজ্যে এমনিতেই স্পর্শকাতর অবস্থা। তার মধ্যে বাইরের প্রতিনিধিরা গোয়ালপাড়া গেলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে—এই আশঙ্কায় জেলাশাসক ১৪৪ ধারা জারি করেছিলেন।