বুধবার বোলপুরে অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে সিবিআই আধিকারিকেরা। ছবি: বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী।
দিকে দিকে তাঁর নিজের এবং আত্মীয় থেকে দেহরক্ষীদের নামে অগাধ সম্পত্তি নিয়ে জল্পনা চলছিল। প্রশ্ন উঠছিল, সম্পত্তি ঠিক ক’টি এবং কী ধরনের? তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, গরু পাচারে অভিযুক্ত, তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (কেষ্ট), তাঁর দেহরক্ষী সেহগাল হোসেন, ঘনিষ্ঠ আত্মীয় ও ব্যবসায়ীদের মোট ১৬২টি সম্পত্তির হদিস পাওয়া গিয়েছে।
কী ধরনের সম্পত্তি? তদন্তকারীরা জানান, একাধিক চালকল ও জমি-সহ অনুব্রতের ২৪টি, তাঁর মেয়ে সুকন্যার ২৬টি এবং অনুব্রতের প্রয়াত স্ত্রী ছবি মণ্ডলের নামে ১২টি সম্পত্তির হদিস ও হিসাব পেয়েছেন তাঁরা। এ ছাড়াও অনুব্রতের দেহরক্ষী সেহগালের মোট ৪৭টি সম্পত্তির দলিল উদ্ধার হয়েছে। পাওয়া গিয়েছে অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ বিদ্যুৎবরণ গায়েনের ৩২টি সম্পত্তির নথি। আরও এক অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ কমলকান্তি ঘোষ ও তাঁর পরিবারের নামে ১৮টি সম্পত্তি মিলেছে বলে দাবি তদন্তকারীদের। সিবিআই-কর্তারা জানান, এর বাইরেও নামে-বেনামে অনুব্রত, সুকন্যা, ছবি এবং তাঁদের ঘনিষ্ঠদের অনেক সম্পত্তি রয়েছে।
মূলত বীরভূমের বোলপুর, ইলামবাজার, মুর্শিদাবাদের ডোমকল, জলঙ্গি ছাড়াও কলকাতার সল্টলেক এলাকায় ওই সব সম্পত্তির খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। বীরভূম জেলার অতিরিক্ত রেজিস্ট্রারের অফিস থেকে ওই সব সম্পত্তির নথি সংগ্রহ করেছে সিবিআই। তদন্তকারীদের কথায়, ২০১৪ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে ওইসব সম্পত্তি কেনা হয়েছে। অধিকাংশ সম্পত্তি নগদ টাকায় কেনা হয় বলে সূত্রের খবর। তদন্তকারীদের দাবি, ওই সময়পর্বে ঝাড়খণ্ড থেকে বীরভূম হয়ে মুর্শিদাবাদ ও মালদহ সীমান্তে রমরমিয়ে গরু পাচার চলছিল। আর ওই সময়েই অনুব্রত, তাঁর পরিবার এবং ঘনিষ্ঠদের সম্পত্তি রকেটের গতিতে বৃদ্ধি পেয়েছে বলে অভিযোগ সিবিআইয়ের।