অনুব্রত মণ্ডল। ফাইল চিত্র।
কার নির্দেশে তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে সরকারি চিকিৎসক দল গিয়েছিল তা স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে জানতে চাইবে না ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ)। বুধবার এ কথা জানিয়েছেন আইএমএর রাজ্য শাখার সম্পাদক শান্তনু সেন। তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ শান্তনু বলেন, ‘‘আমাদের কাছে কোনো অভিযোগ জানালে দেখব। তবে এটা একটা বিচারাধীন বিষয়। ফলে আমরা এটা নিয়ে এখনই কিছু করছি না।’’
গরুপাচার মামলায় বুধবার হাজির হওয়ার জন্য অনুব্রতকে সমন পাঠিয়েছিল সিবিআই। এই নিয়ে ওই মামলায় দশম সমন দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। যদিও শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে কেষ্ট সিবিআই হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন। ঘটনাচক্রে মঙ্গলবার বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের পাঁচ জনের একটি চিকিৎসক দল গিয়েছিল অনুব্রতর বাড়িতে, তাঁকে পরীক্ষা করতে। ওই দলের নেতৃত্বে ছিলেন চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারী। ওই চিকিৎসক দল সাদা কাগজে অনুব্রতকে ১৪ দিনের ‘বেড রেস্ট’ নেওয়ার পরামর্শ লিখে দেন বলে অভিযোগ।
চিকিৎসক চন্দ্রনাথ জানিয়েছেন, হাসপাতালের সুপার বুদ্ধদেব মুর্মুর নির্দেশমাফিক এমন কাজ করেছেন তিনি। এই ঘটনা ঘিরে ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে বিতর্ক। বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছে, অনুব্রত কোনও বিধায়ক, সাংসদ বা সরকারি কোনও প্রতিনিধিও নন। তবু তাঁর বাড়িতে সরকারি ‘মেডিক্যাল টিম’ গেল কেন? এই বিতর্কের আবহে, ওই কাণ্ডে জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকের থেকে রিপোর্ট চাইতে চলেছে স্বাস্থ্য ভবন। পাশাপাশি পুরো ঘটনাটির পর্যালোচনাও করা হচ্ছে।
ঘটনা প্রসঙ্গে রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী বলেন, ‘‘পুরো ঘটনাটি পর্যালোচনা করছি। বিষয়টি নিয়ে জেলা স্বাস্থ্যকর্তার কাছে রিপোর্ট চাওয়া হবে। কার নির্দেশে চিকিৎসক গিয়েছিলেন, সুপারকে কে নির্দেশ দিয়েছিলেন সব জানতে চাওয়া হবে। এটা যাতে ভবিষ্যতে না হয় সে নিয়েও সতর্ক করা হবে।’’
অন্য দিকে, চিকিৎসক সংগঠন ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরাম’-এর পক্ষে কৌশিক চাকি বুধবার বলেছেন বলেন, ‘‘খুঁজে বার করুন সেই আমলা ও তাঁদের উপরমহলের কারা সরকারি চিকিৎসকদের নির্দেশ দেন একজন রাজনৈতিক নেতার বাড়ি যাওয়ার।’’ কিন্তু কেন করা হল এমন পদক্ষেপ? কৌশিকের ব্যাখ্যা, ‘‘চাপ, চাপ ও অবিরত চাপ।’’