প্রতীকী চিত্র
উচ্চ মাধ্যমিকের মার্কশিট সংশোধনের জন্য আবেদন করে কেষ্টপুরের দেশপ্রিয় বালিকা বিদ্যালয়ের পিঙ্কি পাণ্ডা দাবি করেছিলেন, তাঁর ১০৮ নম্বর বাড়তে পারে। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ পিঙ্কির মার্কশিট সংশোধন করে শুক্রবার জানাল, নম্বর বেড়েছে ১০৮।
পিঙ্কির প্রথম মার্কশিটে নম্বর ছিল ২৩৮। তা বেড়ে হল ৩৪৬। শতাংশের হিসেবে যা ৪৭ থেকে ৬৯ শতাংশ হয়ে গেল। পিঙ্কি শুক্রবার বলেন, ‘‘উচ্চ মাধ্যমিকে এ বারের পদ্ধতিতে মূল্যায়ন করেই দেখেছিলাম, ১০৮ নম্বর বাড়বে। ঠিকই মূল্যায়ন করেছিলাম।’’
দীর্ঘ ৩৭ বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা হিন্দু স্কুলের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক প্রদীপ বসুর। প্রদীপবাবু বলেন, ‘‘উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ১০৮ নম্বর বেড়েছে, আমার শিক্ষক জীবনে শুনিনি। আমার সময়ে উচ্চ মাধ্যমিকে যারা ফেল করত, তাদের কেউ কেউ খাতা রিভিউ করতে দিত। দেখা যেত, রিভিউ করার পরেও অনেকেই পাশ করতে পারেনি। স্ক্রুটিনিতে নম্বর কমে গেল, এমন ঘটনাও ঘটেছে।’’ প্রদীপবাবুর মতে, এ বারের ঘটনায় উচ্চ মাধ্যমিকের মূল্যায়নের বিশ্বাসযোগ্যতা থাকছে কি?
উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য জানান, মার্কশিট সংশোধনের পরে আরও কয়েক জনের নম্বর ১০০-র বেশি বেড়েছে। চিরঞ্জীববাবু বলেন, ‘‘স্কুলের তরফে একাদশ শ্রেণির নম্বর পাঠানো হোক বা কাউন্সিলের ডেটা এন্ট্রি— কোথাও ভুল হলেই সংশোধনের পর নম্বর অনেকটা বেড়ে যেতে পারে। এখানে সেটাই হয়েছে। অস্বাভাবিক কিছু নয়।’’