চাকরি নিয়ে ভয় ১ হাজার সর্বশিক্ষা কর্মীর

দুই পর্যায়ে চুক্তির ভিত্তিতে নিয়োগ হয়েছিল ছ’বছর আগে। দু’মাস পরেই সেই মেয়াদ শেষ হচ্ছে। কিন্তু এখনও মেয়াদ বৃদ্ধির কোনও নির্দেশিকা দেয়নি রাজ্য সরকার। তাই চাকরি হারানোর আশঙ্কায় রাজ্যের সর্বশিক্ষা মিশনের প্রায় এক হাজার কর্মী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ মে ২০১৭ ০৩:৪৯
Share:

দুই পর্যায়ে চুক্তির ভিত্তিতে নিয়োগ হয়েছিল ছ’বছর আগে। দু’মাস পরেই সেই মেয়াদ শেষ হচ্ছে। কিন্তু এখনও মেয়াদ বৃদ্ধির কোনও নির্দেশিকা দেয়নি রাজ্য সরকার। তাই চাকরি হারানোর আশঙ্কায় রাজ্যের সর্বশিক্ষা মিশনের প্রায় এক হাজার কর্মী। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, বিষয়টি সরকার বিবেচনা করে দেখছে।

Advertisement

বিকাশ ভবন সূত্রের খবর, গোটা রাজ্যে প্রায় তিন হাজার সর্বশিক্ষা কর্মী রয়েছেন। ২০১০ সালে তৎকালীন পশ্চিমবঙ্গ সরকার দু’হাজার কর্মীর মেয়াদ ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত করে দেয়। কিন্তু তারপরে রাজ্যের বিভিন্ন প্রকল্পের সুফল সাধারণ মানুষের ঘরে পৌঁছে দিতে ২০১১ এবং ২০১৪ সালে দু’বার তিন বছরের জন্য আরও প্রায় এক হাজার জন কর্মীকে চুক্তির ভিত্তিতে নিয়োগ করে রাজ্য সরকার।

স্কুলশিক্ষা দফতরের এক কর্তা জানান, কয়েকটি প্রকল্প রূপায়ণ হয়নি। তার জন্য কত লোকের প্রয়োজন তার তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। আপাতত এই তালিকার উপরেই নির্ভর করছে ওই এক হাজার কর্মীর ভবিষ্যৎ। দফতর সূত্রে খবর, কোন পদ্ধতিতে ২০১০ সালে দু’হাজার কর্মীকে স্থায়ী করা হয়েছে সেটাও খতিয়ে দেখা হবে। তারপরে পরবর্তী

Advertisement

সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সর্বশিক্ষা প্রকল্পের মোট টাকার ৬০ শতাংশ দেয় কেন্দ্র। বাকিটা রাজ্যকেই বহন করতে হয়। সম্প্রতি কমেছে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ। বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সহ-সাধারণ সম্পাদক স্বপন মন্ডলের অভিযোগ, পঞ্জাব, ত্রিপুরা, মণিপুরের তুলনায় এখানে

কর্মীরা সম্মানজনক বেতন পান না। পার্থবাবুর পাল্টা দাবি, রাজ্য সরকার যথেষ্ট মানবিক। প্রকল্প না থাকলেও কর্মীদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়নি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement