ছবি: সংগৃহীত।
রাজ্যের ১২৫টি পুরসভার মধ্যে ৫২টি এখনও উন্মুক্ত শৌচের সমস্যা থেকে মুক্তি পায়নি। সেই সব পুরসভায় এই কর্মসূচি সফল করতে এ বার যুগ্মসচিব পর্যায়ের ১০ জন অফিসারের মধ্যে দায়িত্ব ভাগ করে দিল পুর দফতর।
রাজ্যের হিসেব অনুযায়ী উন্মুক্ত শৌচ মুক্ত হয়ে উঠতে না-পারা পুরসভার সংখ্যা ছিল ৪২। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের স্বচ্ছ ভারত মিশনের মাপকাঠিতে বাংলার ৫২টি পুরসভায় এখনও এই সমস্যা আছে। তাই ওই ৫২টি পুরসভাকে উন্মুক্ত শৌচ মুক্ত (ওডিএফ) করার পরিকল্পনা রূপায়ণে যুগ্মসচিব স্তরের অফিসারদের দায়িত্ব দেওয়া হল।
তবে শুধু উন্মুক্ত শৌচ মুক্ত করলেই রাজ্যের দায়দায়িত্ব শেষ হবে না। তার সঙ্গে থাকছে ‘ওডিএফ প্লাস’ এবং ‘ওডিএফ প্লাস প্লাস’ করার কাজও। ‘ওডিএফ প্লাস’ হল উন্মুক্ত শৌচ মুক্তির ক্ষেত্রে জলের জোগান, সেই শৌচের কাঠামো এবং বাড়ি নির্মাণ-সহ বিভিন্ন বিষয় ঠিকঠাক আছে কি না, তা দেখা। আর এই প্রকল্পটিকে দীর্ঘস্থায়ী করার প্রক্রিয়া হল ‘ওডিএফ প্লাস প্লাস’। বঙ্গের ১৪-১৬টি পুরসভা ‘ওডিএফ প্লাস’-এর স্তরে রয়েছে। কিন্তু এ রাজ্যের কোনও পুরসভাই ‘ওডিএফ প্লাস প্লাস’-এর স্তরে উন্নীত হতে পারেনি।
আরও পড়ুন: গোলাপি বলের ম্যাচে ইডেনে বাঙ্কার, নজরমিনার পুলিশের
সেই জন্য পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্মসচিবদের উপস্থিতিতেই রাজ্যের ২২টি জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসকদের (এডিএম) বৈঠক হবে। সেখানে থাকবেন জেলাগুলির ওসি-রা (পুর বিষয়ক)। কাল, বৃহস্পতিবার বিধাননগরের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরে এই বৈঠক হবে। তার পরে জেলা সফরে যাবেন যুগ্মসচিবেরা। তাঁদের মধ্যে দু’জন ছাড়া বাকিদের তিনটি বা চারটি করে জেলার দায়িত্ব সামলাতে হবে।
উন্মুক্ত শৌচ মুক্তি কর্মসূচির অগ্রগতি বুঝতে কোনও কোনও অফিসার ইতিমধ্যে জেলা সফরে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু ডেঙ্গির দাপট বাড়ায় তাঁরা জেলায় যেতে পারেননি। এ বার যাচ্ছেন তাঁরা। যুগ্মসচিব পর্যায়ের ওই অফিসারেরা কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার খুঁটিনাটিও খতিয়ে দেখবেন। কারণ, ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনাল বা জাতীয় পরিবেশ আদালত এ বিষয়ে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে। তাই কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনাতেও কোনও খামতি রাখতে চাইছে না রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর।
স্বচ্ছ ভারত মিশন বা মিশন নির্মল বাংলার অন্তর্গত উন্মুক্ত শৌচ মুক্তি প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ অর্থ আগামী ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি জানিয়েছেন, ব্যবহার না-করলে সেই টাকা কেন্দ্রীয় সরকারকে ফিরিয়ে দেওয়া হবে। স্বচ্ছ ভারত মিশনে প্রকল্পের তহবিলে স্বচ্ছতার কথা আগেই বলেছেন মন্ত্রী।
এই পরিস্থিতিতে ‘ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট’ বা সদ্ব্যবহার শংসাপত্র-সহ অর্থ ব্যবহারের যাবতীয় নথিপত্র নিয়ে বৈঠকে আসার জন্য এডিএম এবং ওসি-দের (পুর বিষয়ক) নির্দেশ দিয়েছে পুর ও নগোন্নয়ন দফতর।