অলীক চক্রবর্তী। ফাইল চিত্র।
আদালতে থিকথিক করছে পুলিশ। সন্দেহ হলেই জিজ্ঞাসাবাদ, কোথা থেকে আসছেন? কী দরকার? ভাঙড়ে জমি আন্দোলনের নেতা অলীক চক্রবর্তীকে পেশ করা হবে, তাইশনিবার বারুইপুর জেলা আদালত যেন দুর্গের চেহারা নিয়েছিল!
কালবিলম্ব না করে সাতসকালেই পুলিশ লকআপে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় অলীককে। সেই সময় অলীকের হুঙ্কার, “গ্রেফতার করে আন্দোলন দমন করা যাবে না।”
আদালতে সওয়াল-জবাব যখন চলছে, তখন বাইরে অনুগামীদের ভিড় বাড়ছে। কলকাতা থেকে হাজির হয়েছেন গণআন্দোলনের কর্মীরাও। অলীকের মুক্তির দাবিতে স্লোগান শুরু হয়ে গিয়েছে। এরই মধ্য তাঁদের কাছে খবর এল, বিচারক অলীক চক্রবর্তীকে ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। স্লোগানের ঝাঁঝ যেন আরও বাড়ল। জমি আন্দোলনকারীরা জানিয়ে দিলেন, অলীককে গ্রেফতার করে আমাদের আটকানো যাবে না। কোনও ভাবেই পাওয়ার গ্রিডের আন্দোলন থেকে সরবে না গ্রামবাসীরা।
২০১৭ সালে তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম ঘনিষ্ঠ বাবুসোনা খুনের অভিযোগে বৃহস্পতিবার অলীককে ভুবনেশ্বর থেকে গ্রেফতার করা হয়। পঞ্চাশটির কাছাকাছি মামলায় সিপিআই(এমএল) রেডস্টারের এই নেতার নাম রয়েছে। ভাঙড়ে পাওয়ার গ্রিড আন্দোলনে ইন্ধন দেওয়ার অভিযোগে ইউএপিএ ধারাতেও মামলা রুজু হয়েছে। আন্দোলনের অন্যতম নেতা অলীককে ভুবনেশ্বরে গ্রেফতারের পর তাঁকে ট্রানজিট রিমান্ডে নিয়ে এসে বারুইপুর আদালতে তোলা পেশ করে পুলিশ। অলীক চিকিৎসার জন্যভুবনেশ্বরে গিয়েছিলেন৷ এদিন বিচারক তাঁর চিকিৎসার বন্দোবস্ত করতেও পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন।
দেখুন ভিডিয়ো
আরও পড়ুন: অলীক গ্রেফতারের পরে প্রতিবাদ মিছিল ভাঙড়ে
আরও পড়ুন: পুরুলিয়ায় ফের এক বিজেপি কর্মীর ঝুলন্ত দেহ, পুলিশ-জনতা সংঘর্ষে ইটবৃষ্টি, লাঠিচার্জ
পঞ্চায়েত ভোটে জমি আন্দোলনের কর্মীদের জয়ের পর ধীরে ধীরে ভাঙড়ের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছিল।অলীকের গ্রেফতারির পর ফের নতুন করে আশান্তির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।