প্রতীকী ছবি।
অফিস সেরে রাতের ট্রেনে বাড়ি ফিরছিলেন বছর কুড়ির তরুণী। রানাঘাট-বনগাঁ লোকালে প্রায় ফাঁকা মহিলা কামরায় উঠে দুই যুবক তাঁকে উত্ত্যক্ত করতে শুরু করে এবং পরে চলন্ত ট্রেন থেকে ঠেলে ফেলে দেয় বলে অভিযোগ। পরের স্টেশনে নেমে তারা পালানোর চেষ্টা করলেও দিলীপ তালুকদার নামে এক জনকে ধরে ফেলে রেল পুলিশের হাতে তুলে দেয় জনতা। শনিবার রানাঘাট আদালত ধৃতকে পাঁচ দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু তার সঙ্গী এখনও অধরা। পায়েল দাস নামে ওই তরুণী গুরুতর জখম অবস্থায় কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে ভর্তি।
রেলপুলিশ সূত্রে জানা যায়, নদিয়ার রানাঘাট থানার রায়নগরের বাসিন্দা পায়েল কল্যাণীর বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন। শুক্রবার রাত সওয়া ৯টা নাগাদ তিনি রানাঘাট-বনগাঁ লোকালের মহিলা কামরায় ওঠেন। তাঁর পরিবারের অভিযোগ, গাংনাপুরের মাঝেরগ্রাম পঞ্চায়েতের হুমনিয়াপোতার বাসিন্দা দিলীপ ও তার এক সঙ্গী ওই কামরায় উঠে তাঁকে উত্ত্যক্ত করতে থাকে, যৌন হেনস্থা করারও চেষ্টা করে। পায়েল কাউকে ফোন করার চেষ্টা করলে তারা তাঁকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এর পরে ট্রেনটি নব রায়নগর স্টেশনে থামলে দিলীপ ধরা পড়ে যায়। পায়েলকে রানাঘাট মহকুমা হাসপাতাল ও পরে জেএনএমে আনা হয়। ঘটনাস্থল উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ রেল পুলিশের এলাকা হওয়ায় ধৃতকে সেখানেই নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পায়েলের মা পাপিয়া দাস বলেন, “আজ আমার মেয়ের সঙ্গে এই ঘটনা ঘটেছে। কাল অন্য কারও সঙ্গে ঘটবে না তা কে বলতে পারে?”