অবিবাহিত জীবনে শেষ বারের মতো বন্ধুদের সঙ্গে হুল্লোড়ে মেতে ওঠা। সীমাহীন উন্মাদনায় একগুচ্ছ স্মৃতি, যা মনের আঙিনায় গেঁথে রয়ে যাবে আজীবন। সৌজন্যে ব্যাচেলর পার্টি। সাধারণত বর-কনের খুব কাছের বন্ধুরা মিলে এই ধরনের পার্টির আয়োজন করেন। বাড়িতে উদযাপনের পাশাপাশি ইদানীং কোনও গন্তব্যে গিয়ে এই পার্টি করার প্রবণতা বেড়েছে। দেশের কোথায় কোথায় যাওয়া যেতে পারে এই উদ্দেশ্যে, তারই তালিকা রইল এই প্রতিবেদনে।
১। ভারতের পার্টি ক্যাপিটাল গোয়া! প্রকৃতি, সমুদ্রতট, মিউজিক ফেস্টিভ্যাল, নাইটলাইফ- সবের দুর্দান্ত মিশেল। অতল জলের নীচে হই হুল্লোড়, লং ড্রাইভ অথবা ক্রুজ, নানা বিলাসবহুল উদযাপনের সুযোগ রয়েছে এখানে।
সমুদ্রতটে ব্যাচেলর পার্টি।
২। মুম্বইকে তালিকায় রাখতে পারেন ডান্স ফ্লোর মাতাতে চাইলে। রকমারি আলোর ছটা, লাইভ ব্যান্ড পারফরম্যান্স আর নাচের ছন্দে ব্যাচেলর পার্টির রাত জমে ক্ষীর। আমচি মুম্বই এ ক্ষেত্রে বেশ জনপ্রিয়। মুম্বইতে পার্টি বোট অথবা গো-বার হপিং হয়ে উঠতে পারে উদযাপনের মাধ্যম।
ব্যাচেলর পার্টি মেতে উঠুক মুম্বইয়ের ডান্স ফ্লোরে।
৩। একটু অফ বিট ব্যাচেলর পার্টির অভিজ্ঞতা চাইলে ঘুরে আসতে পারেন লাদাখ। পাহাড়ে ঘেরা লে লাদাখ জুড়ে অফুরান মুক্তির স্বাদ। তা উপভোগ করুন চুটিয়ে। প্যাংগং লেক, নুবরা ভ্যালি, খারদুং লা-র মতো অজস্র ঘোরার জায়গা রয়েছে এখানে। আর রাতে তারায় ভরা আকাশের নীচে ক্যাম্প করে থাকার রোমাঞ্চ।
পাহাড়ে ব্যাচেলর পার্টি।
৪। অরুণাচল প্রদেশে রয়েছে জিরো ভ্যালি। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য তো বটেই, তার সঙ্গে রয়েছে জিরো মিউজিক ফেস্টিভ্যাল, যা ভারতের অন্যতম গান-পার্বণ। ট্রেকিং, ক্যাম্পিং, পিকনিক, মিউজিক ফেস্টিভ্যাল- সব মিলিয়ে ব্যাচেলর পার্টির জন্য জিরো ভ্যালি একেবারে উপযুক্ত।
অরুণাচলেও হতে পারে ব্যাচেলর পার্টি।
৫। দিল্লির কাছে কসোল ঠিক যেন পাহাড়ে ঘেরা প্রকৃতির কোলে এক টুকরো শান্তি। সেখানেই কাটিয়ে আসুন ব্যাচেলরেট। পার্বতী নদী, ক্ষীর গঙ্গা ট্রেক, মালানা বা তোস, আর সঙ্গে ইজরায়েলি খাবার এনে দেবে এক অনন্য অভিজ্ঞতা।
এই প্রতিবেদনটি ‘সাত পাকে বাঁধা’ ফিচারের অংশ।