মধুচন্দ্রিমা কাটাতে পারেন ট্রেনেও
বিয়ের পর মধুচন্দ্রিমায় পাহাড় বা সমুদ্রে গিয়ে থাকেন অধিকাংশ দম্পতি। এমনকি বিদেশে মধুচন্দ্রিমারও চল বেশ বেড়েছে। তবে এই সবের বাইরে একটু অন্যরকম অভিজ্ঞতা হলে কেমন হয়? ধরুন, মনের মানুষের সঙ্গে একান্তে সময় কাটাচ্ছেন চলন্ত ট্রেনে। সঙ্গে রয়েছে সব রকম বিলাসবহুল ব্যবস্থা। সেই ক্ষেত্রে কোনও একটি নির্দিষ্ট গন্তব্য নয়, বরং একাধিক গন্তব্য থাকুক তালিকায়।
রয়্যাল রাজস্থান অন হুইলস
রাজস্থানের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে রয়ছে রাজকীয়তার ছোঁয়া। আর রাজকীয়তার স্রোত যদি আপনার মধুচন্দ্রিমার পরতে পরতে লেগে থাকে, তা হলে তো আর কথাই নেই! এই বিলাসবহুল রেলগাড়ির কামরা আপনাদের আবেগঘন মূহূর্তের সাক্ষী হয়ে থেকে যাবে আজীবন। রাজস্থান থেকে শুরু করে মধ্যপ্রদেশ হয়ে উত্তরপ্রদেশে যায় ট্রেনটি। যোধপুর স্টেশন থেকে ট্রেনে উঠে উদয়পুর, চিতোরগড়, সয়াই মাধোপুর, জয়পুর ঘুরে পৌঁছাবে মধ্যপ্রদেশের খাজুরাহতে। সেখান থেকে আবার উত্তরপ্রদেশ গিয়ে আগ্রা হয়ে বেনারস। এই ট্রেনে রয়েছে ১৪টি রয়্যাল কেবিন যেখানে এলাহি ব্যবস্থা রয়েছে। ঠিক যেন রাজা-রানির মতো হবে মধুচন্দ্রিমা!
আনুমানিক খরচ: জনপ্রতি চার লক্ষ টাকা
গোল্ডেন চ্যারিয়ট
গোল্ডেন চ্যারিয়ট
নৈসর্গিক সৌন্দর্য ও ইতিহাসের মিশেলে অনন্য দক্ষিণ ভারত। আর এখানে মধুচন্দ্রিমা করতে চাইলে হানিমুন প্যাকেজ বুক করুন ‘দ্য গোল্ডেন চ্যারিয়ট’ লাক্সারি ট্রেনে। দু’টি প্যাকেজ রয়েছে। প্রথমটি ‘প্রাইড অফ দ্য সাউথ’। এই রুটে পড়বে বেঙ্গালুরু, কাবিনি, মাইসোর, হাসান, হাম্পি, বাদামি কেভস এবং গোয়া। দ্বিতীয় প্যাকেজটি হল ‘সাদার্ন স্প্লেন্ডার’। এই রুটে ট্রেন ছাড়ে বেঙ্গালুরু থেকে। তার পরে চেন্নাই, মহাবলীপুরম, পুদুচেরি, মাদুরাই, তিরুবনন্তপুরম হয়ে কেরল পৌঁছায়। এই প্যাকেজ দু’টি চলে অক্টোবর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত। এই প্যাকেজটি নিলে মোট সাত রাত ও আট দিন ঘোরা যাবে।
আনুমানিক খরচ: জনপ্রতি তিন লক্ষ টাকা
এই প্রতিবেদনটি ‘সাত পাকে বাঁধা’ ফিচারের অংশ।