Wedding special 2022

আধুনিক নয়, বরং সনাতনী সাজেই সেজে উঠুক কনের হাত

প্রায় হারিয়ে যাওয়া অন্য একটি গয়না অমৃতপাকের বালা। এর নামকরণের নেপথ্যে রয়েছে এই গয়নার পেঁচিয়ে করা ডিজাইন। অনেক সময় দু’টি মকর দিয়ে বালার মুখ জোড়া থাকে তাই মকরমুখী বালাও বলা হয়।

Advertisement

এবিপি ডিজিটাল কনটেন্ট স্টুডিয়ো

শেষ আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২২ ১৯:২৪
Share:

কনের হাতের গয়না

যুগের সঙ্গে গয়নার সাজে বদল এলেও কিছু সনাতনী অলঙ্কারের মাহাত্ম্য চির উজ্জ্বল। এই যেমন ধরুন, কনের হাতের গয়নার বিকল্প হিসাবে অন্যান্য গয়না যে খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে, তা কিন্তু নয়। মানতাসা, রতনচূড়, কঙ্কন, অনন্তবালা, অমৃত পাকের বালা আজও অমলিন। বিয়ের আগে এক ঝলক দেখে নেবেন নাকি?

Advertisement

মানতাসা বেশ ভারী এবং চওড়া ধরনের গয়না। এটি চৌকো আকৃতির ও সঙ্গে চেন জুড়ে দেওয়া থাকে। এই চেন দিয়ে কব্জিতে পরার এই গয়না আটকানো থাকে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে কনের মা, ঠাকুমা বা দিদিমার লকার থেকেই বেরিয়ে আসে এই গয়না। কারণ মানতাসা যে বেশ পুরনো দিনের! রতনচূড় কব্জির কাছে চুড়ির মতো পরা হয়। তার বাকি অংশ ছড়িয়ে হাতের আঙুলের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া থাকে। এটি তৈরিতে অনেকটা সোনা লাগে। তাই অনেকেই জাঙ্ক জুয়েলারির রতনচূড় বা হাত ফুল পরে থাকেন। অথবা রুপোর উপর সোনার জল করিয়ে নিতে পারেন।

প্রায় হারিয়ে যাওয়া অন্য একটি গয়না অমৃতপাকের বালা। এর নামকরণের নেপথ্যে রয়েছে এই গয়নার পেঁচিয়ে করা ডিজাইন। অনেক সময় দু’টি মকর দিয়ে বালার মুখ জোড়া থাকে তাই মকরমুখী বালাও বলা হয়।

Advertisement

আরও একটি হাতের গয়না হল অনন্তবালা বা অনন্তবাজুবন্ধ। মানতাসার সঙ্গে এই গয়নার কিছু সাদৃশ্য থাকলেও এই গয়না খুব একটা ভারী হয় না। বাজুতে অর্থাৎ হাতের উপরের দিকে পরা হয় বলে বাজুবন্ধ নামেও ডাকা হয় একে।

অন্য দিকে কঙ্কনও এক প্রকার হাতের বালা। তবে এর ডিজাইন বেশ অন্য রকম। ফিলিগিরি অর্থাৎ উপরের দিকে নকশা খোদাই করে তৈরি করা হয় এই কঙ্কন।

সেকেলে ডিজাইনে ধরা ইতিহাসের গন্ধ। বিয়ের দিন পুরনো দিনের গয়নাতেই ফুটে উঠুক কনের হাতের লালিত্য।

এই প্রতিবেদনটি ‘সাত পাকে বাঁধা’ ফিচারের অংশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement