বরের বিয়ের আংটি
বিয়ের আংটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অলঙ্কার বর কনে উভয়ের জন্যই। এই রীতির নেপথ্যে রয়েছে একাধিক তাৎপর্য। জীবনের নতুন অধ্যায়ের সাক্ষী হিসাবে জায়গা করে নেয় আমাদের অনামিকায়। কেন এে আঙ্গুলেই পরা হয় বিয়ের আংটি তা নিয়ে নানা মতবাদ রয়েছে। এমনকি ইতিহাস ভেদে বিভিন্ন দেশের প্রচলিত কারণ বিভিন্ন রকমের। হীরে, প্লাটিনাম, মুক্তোর আংটির সম্ভার থাকলেও বাঙালিদের কাছে সোনার বিয়ের আংটিই প্রথম পছন্দ। কনের বিয়ের আংটির ডিজাইনের সমাহার বিপুল। অন্যদিকে বরের বিয়ের আংটির ডিজাইন তুলনামূলকভাবে সীমিত।
স্কয়্যার বা বর্গাকার আংটি বেশ জনপ্রিয়। আঙুলের গঠন ও মাপ অনুযায়ী চৌকোর আকার নির্ভর করছে। চৌকোর ওপরের অংশে বিভিন্ন ধরনের নকশা খোদাই করা থাকে। এক্ষেত্রে আপনি নিজের পছন্দের নকশাও করিয়ে নিতে পারেন সোনার দোকানে। বরের নামের প্রথম অক্ষর, কনের নামের প্রথম অক্ষর অথবা দু’জনের নামের প্রথম অক্ষর খোদাই করিয়ে নিতে পারেন। দু’টি অক্ষরের মাঝখানে থাকুক ছোট্ট যোগ চিহ্ন অথবা হৃদয় চিহ্ন। পরিমিত ডিজাইন চাইলে বেলনাকার আংটি রাখতে পারেন তালিকায়। ছোট্ট ফুল বা পাতার নকশা এই অলঙ্কারকে করে তুলবে অনন্য। রেকট্যাঙ্গুলার অথবা আয়তাকার আংটি নতুনত্ব নিয়ে আসতে পারে ডিজাইনে। ওপরে বসানো থাকুক হীরে। অথবা সোনার ছোট্ট ফুল।
বিয়ের আংটির ঘরানায় ওভ্যাল অথবা ডিম্বাকার আংটির চল খুব একটা নেই। তবে একটু অন্য ধরনের আংটি দেওয়ার ভাবনা থাকলে এই আকারের আংটি দিতে পারেন। সঙ্গে থাকুক পছন্দসই নকশা। একেবারে আনকোরা আংটি দিতে চাইলে তালিকায় রাখুন অ্যাবস্ট্রাক্ট আংটি। নকশা খোদাই করা একাধারে আবার সেই নকশার আকারেই তৈরি এই আংটি। আংটির ডিজাইনকে প্রতীকী হিসাবে তুলে ধরতে চান অনেকে। সেক্ষেত্রে নিজেদের জীবনের তাৎপর্যপূর্ণ কোনও তারিখ বা ঘটনা আংটির সঙ্গে জুড়ে দিতে পারেন সাংকেতিক ভাবে।
এই প্রতিবেদনটি ‘সাত পাকে বাঁধা’ ফিচারের অংশ।