কাপড়ের কানের দুল ও হার
সূচ-সুতোর গয়না? হ্যাঁ বর্তমানে এই গয়নাই হয়ে উঠেছে ট্রেন্ড। ধাতুর গয়না নয়, বরং ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে কাপড়ের গয়নার বাহার। এমব্রয়ডারি স্টিচ, ক্রস স্টিচ, বোতাম স্টিচ, নকশিকাঁথার ফোঁড়, চেন সেলাই, গুজরাতি স্টিচের মতো সূচ-সুতোয় করা হরেক রকম নকশায় বানানো হয় এই বাহারি গয়না।
এখন অনেকেই ভারী গয়না এড়িয়ে চলেন। এ দিকে, সামনেই বিয়েবাড়ির মরসুম। একেবারে গয়না ছাড়া সাদামাটা ভাবে যাওয়াও তো চলে না! অতএব, ওজনে হাল্কা এই কাপড়ের গয়না ফ্যাশনের সঙ্গে বেশ খানিকটা স্বস্তিও দিতে পারে। সাজকে জমকালো রূপ দিতে চান, পাশাপাশি আরামের সঙ্গেও আপস করতে চান না? এই কাপড়ের গয়না তবে আপনার জন্য একেবারে আদর্শ!
সাদাসিধে অথবা জমকালো সাজ, যে কোনও লুকের জন্য অপরিহার্য হয়ে উঠেছে কাপড়ের গয়না। পোশাকের সঙ্গে কনট্রাস্ট করে পরতে পারেন। গলায় ভারী কাজের নেকলেস পরলে হয় কানের গয়না একেবারে বাদ দিন, অথবা বেছে নিন একদম ছোট কোনও দুল। হাতে কাপড়ের তৈরি কয়েক গাছা চুড়ি পরতে পারেন শাড়ি, কুর্তি অথবা সালোয়ারের সঙ্গে। প্রকৃতপক্ষেই ব্যক্তিত্বে এক আভিজাত্যের ছোঁয়া নিয়ে আসবে এই অন্য স্বাদের গয়না।
কাপড়ের গয়না
তবে অন্যান্য গয়নার তুলনায় কাপড়ের গয়না তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। সুতো উঠে আসা, রঙের জৌলুস কমে যাওয়া, সহজে দাগ ধরা বা ময়লা হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা তার সঙ্গী। তাই বাড়তি যত্ন নিতেই হয়। তবে বেশ কিছু বিষয় মাথায় রাখলে অনেক দিন পর্যন্ত টিকিয়ে রাখা যায় এই গয়না।
১। কোনও রকম সুগন্ধি ব্যবহার করা যাবে না গয়নার উপরে। এতে দাগ হতে পারে।
২। কোনও ধাতুর গয়নার সঙ্গে কাপড়ের গয়না রাখা যাবে না।
৩। ব্যবহারের পর পাখার হাওয়ায় গয়না শুকিয়ে তার পরে তুলে রাখুন।
৪। মাঝেমধ্যে রোদে রাখতে পারেন।
৫। ময়লা হলে ড্রাইওয়াশ করুন, ডিটারজেন্ট পাউডার নৈব নৈব চ।
এই প্রতিবেদনটি 'সাত পাকে বাঁধা' ফিচারের অংশ।