বেনারসি ও জামদানি শাড়িতে কনে
বঙ্গনারীর কাছে শাড়ি স্রেফ পোশাক নয়, বরং পুরোদস্তুর আবেগ। কলেজে অনুষ্ঠান, মনের মানুষের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়া কিংবা বন্ধুর বিয়ে – প্রায় সব বাঙালি কন্যের প্রথম পছন্দ শাড়ি। আর যদি হয় নিজের বিয়ে, তবে তো কথাই নেই! বিয়েতে কনে বেনারসি পরবেন, সাধারণত এটাই দেখে থাকি আমরা। কিন্তু বউভাতে এখন অনেকেই আর বেনারসি পরতে চান না। এ দিকে লেহঙ্গা বা ফিউশন গাউনও পরতে মন চাইছে না। তা হলে উপায়? বেনারসি ছাড়াও কিন্তু আরও অনেক শাড়ি আছে, যা অনায়াসেই হয়ে উঠবে রাজকীয় সাজ। আসুন দেখে নেওয়া যাক, কী কী শাড়ি রয়েছে এই তালিকায়।
কনের সাজ
১। বালুচরী: ছবি, কল্কা, পাড় ও বুটি এই চারের সংমিশ্রণে তৈরি বালুচরী মুর্শিদাবাদের সনাতনী শাড়ি হিসাবে বিবেচিত। শাড়ির আঁচলে সুতোর নকশায় ফুটিয়ে তোলা হয় পৌরাণিক কাহিনি অথবা প্রাকৃতিক কোনও দৃশ্য।
২। স্বর্ণচরী: বালুচরী এবং স্বর্ণচরী একই পদ্ধতিতে তৈরি। মূল পার্থক্য এটিই যে, বালুচরীতে সুতোর কাজ থাকে আর স্বর্ণচরীতে সোনালি জরির কাজ। সাবেক সাজে অনন্যা হয়ে উঠতে চাইলে এই শাড়ি পরতেই পারেন বউভাতে।
৩। জামদানি: নকশা, বুনন এবং ঐতিহ্যের মিশেলে তৈরি এই শাড়ি। জানা যায়, এই শাড়ির প্রচলন ঘটেছিল ঢাকা শহরে। তাই ঢাকাই জামদানি নামেও পরিচিত এই শাড়ি। তবে পশ্চিমবঙ্গে শান্তিপুরি এবং ধনেখালি জামদানি পাওয়া যায়।
৪। কাঞ্চিপুরম: চওড়া জরির পাড় ও ভিতরে জরির কাজ করা এই শাড়ি জন্মসূত্রে দক্ষিণী। তামিলনাড়ুর কাঞ্চিপুরম অঞ্চলের শাড়ি। তাই এমন নামকরণ। উজ্জ্বল, ভারী এবং জমকালো শাড়িটি হয়ে উঠতে পারে আপনার বউভাতের সন্ধ্যার মূল আকর্ষণ।
৫। পৈঠানী: সিল্কের জমিতে জরির পাড় যুক্ত এই পৈঠানী মহারাষ্ট্রের সনাতনী শাড়ি। এর বিশেষত্ব হল রঙিন, জমকালো কাজ এবং আঁচলে ময়ূরের নকশা। সঙ্গে ভিতরে থাকে ফুলেল নকশা। নতুন কনেকে কিন্তু বেশ মানাবে এই শাড়িতে!
এ ছাড়াও রয়েছে ব্যোমকাই, কাঁথা, তসর। হাতে সময় নিয়ে নিজের পছন্দ অনুযায়ী ঠিক করে ফেলুন বউভাতের সাজ কী হবে। শাড়ির সঙ্গে নারীদের সখ্য চিরকালীন। তা বজায় থাকুক আপনার সাজেও।
এই প্রতিবেদনটি 'সাত পাকে বাঁধা' ফিচারের অংশ।