Wedding special 2022

তেলঙ্গানা থেকে গুজরাত, ভারতের বিখ্যাত শাড়িগুলির উদ্ভাবন এই অঞ্চলগুলিতেই

সিল্ক, সুতি ও জরির মেলবন্ধনে এই শাড়ি। মধ্যপ্রদেশের চান্দেরি অঞ্চলে এর উৎপত্তি। পুরাণের পাতা থেকে জানা যায়, শ্রীকৃষ্ণের আত্মীয় শিশুপাল এই শাড়ির প্রবর্তন করেন।

Advertisement
এবিপি ডিজিটাল কনটেন্ট স্টুডিয়ো
শেষ আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২২ ১৬:৪৪
Share:
০১ ১০

বেনারসি: নামেই স্পষ্ট, ভারতের প্রাচীন শহর বারাণসীতে এই শাড়ির উৎপত্তি। এই শাড়ির মূল বৈশিষ্ট্য হল সিল্কের উপরে ভারী সুতোর কাজ। বর্তমানে তসর, জর্জেট, শিফন, সাটিন ইত্যাদি নানা ধরনের বেনারসি পাওয়া যায়। তবে সিল্কের বেনারসিই কিন্তু আসল বেনারসি।

০২ ১০

বালুচরী: মুর্শিদাবাদ জেলার জিয়াগঞ্জের কাছে বালুচর নামে এক এলাকায় উৎপত্তি এই শাড়ির। এর মূল বৈশিষ্ট্য চিত্র, কল্কা, পাড়, বুটি। শোনা যায়, এই শাড়ির নকশা অন্যান্য শাড়িতে পাওয়া যায় না। মূলত রেশম শাড়ি হলেও পরবর্তী কালে তুলো থেকে তাঁতের বালুচরী তৈরি করা হয়। ইদানিং বাজারে পাওয়া যাচ্ছে জৈব বালুচরী, যেগুলি বাঁশ, কলা ইত্যাদি গাছ থেকে পাওয়া সুতো থেকে তৈরি।

Advertisement
০৩ ১০

ব্যোমকাই: সিল্ক ও সুতির তৈরি এই শাড়ির প্রবর্তন উড়িষ্যায়। সারা শাড়ি জুড়ে ছোট ছোট ফুল আর শাড়ির পাড়ে মন্দিরের নকশা। আঁচলে থাকে ঠাস বুনোটের কাজ। এখন অবশ্য অনেক আধুনিক অন্য ডিজাইনের ব্যোমকাই শাড়ি পাওয়া যায়।

০৪ ১০

কাঞ্চিপূরম: উজ্জ্বল রং আর জমকালো কাজ পছন্দ হলে গন্তব্য হোক কাঞ্চিপূরম শাড়ি। তামিলনাড়ুর কাঞ্চিপুরম অঞ্চলে এই রেশম শাড়ির উৎপত্তি।

০৫ ১০

পচম্পল্লি: তেলঙ্গানার নালগোন্ডা জেলায় এই শাড়ির জন্ম। ঝলমলে রং এবং পাড়ে ঠাসা জরির কাজ। সঙ্গে থাকে শাড়ি জুড়ে জ্যামিতিক আকারের নকশা।

০৬ ১০

চান্দেরি: সিল্ক, সুতি ও জরির মেলবন্ধনে এই শাড়ি। মধ্যপ্রদেশের চান্দেরি অঞ্চলে এর উৎপত্তি। পুরাণের পাতা থেকে জানা যায়, শ্রীকৃষ্ণের আত্মীয় শিশুপাল এই শাড়ির প্রবর্তন করেন। বেশ সূক্ষ্ম এবং হালকা, মার্জিত সাজের জন্য একেবারে উপযুক্ত চান্দেরি।

০৭ ১০

বাঁধনি: গুজরাতের বাঁধনি কাজে তৈরি এই শাড়ি। সুতি, সিল্ক, শিফন ও জর্জেটেরও হয়। পরে যেমন আরাম, তেমনই সাজও হয় আধুনিক।

০৮ ১০

লহরিয়া: বেশ রঙিন অথচ হালকা এই শাড়ির উৎস রাজস্থান। এই শাড়িতে তির্যক ভাবে টাই অ্যান্ড ডাই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।

০৯ ১০

পৈঠানি: জমকালো রঙের সঙ্গে মানানসই কাজ। মহারাষ্ট্রের এই সাবেক শাড়ির আঁচলে বড় বড় ময়ূর- এটিই হল মূল বৈশিষ্ট্য।

১০ ১০

কসাভু: জরির পাড়যুক্ত সিল্ক অথবা সুতির সাদা শাড়ি। কেরলে তৈরি হয় এই কসাভু শাড়ি। সাধারণত এটি কেরালা কটন নামে পরিচিত। এই শাড়িতেই বিয়ের পিঁড়িতে বসেন কেরলের কনেরা। কেবল সাদা রঙেই পাওয়া যায় আসল কসাভু।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement