শাড়ির কাপড় ছাড়াও নকশা বা ডিজাইনের উপর ভিত্তি করে বেনারসি শাড়ির রকমফের রয়েছে। কোনওটায় জমকালো কাজ, কোথাও বা আবার হাল্কা কাজ। বেনারসি শাড়ির আকর্ষণই আলাদা।
এক এক শাড়ির নকশার ধরন এক এক রকম। কোনও কোনও শাড়ির সূক্ষ্ম কাজ দেখলে সত্যিই অবাক হতে হয়। এই শাড়িগুলির বুননেও পার্থক্য রয়েছে। বিয়ের মরসুমে শাড়িগুলি দেখে নিন এক ঝলকে।
তাঞ্চই বেনারসি: সূক্ষ্ম ভাবে বোনা এই বেনারসিতে সুতোর হাল্কা কাজ করা থাকে। বলা হয় এই শাড়ির বুনন পদ্ধতি মূলত চিন দেশ থেকে এসেছে। সেই পদ্ধতি বেশ জটিল। প্রায় পাঁচ রকমের রং ব্যবহার করা হয় বুননে।
চিনের তিন ভাই সুরাতে এসে তাঁতিদের এই বুনন পদ্ধতি শেখান। পরবর্তীকালে তা বেনারসে আসে। তিন ভাইয়ের নামের শেষে চই শব্দটি ছিল। সেই অনুসারেই তিন ও চই শব্দ মিলিয়ে এই শাড়ির নামকরণ তাঞ্চই।
কারুয়া বেনারসি: কড়া হুয়া শব্দদ্বয় থেকে এর নামকরণ। এবং এই শব্দদ্বয়ের অর্থ এমব্রয়ডারি করা। সাধারণত বেশ উজ্জ্বল হয় এই ধরনের বেনারসি। এই শাড়ি বুনতে হয় সনাতনী তাঁতে। এমব্রয়ডারি করা এক-একটি শাড়ি বুনতে সময় লাগে প্রায় দুই মাস।
জামদানী বেনারসি: এক বিশেষ ধরনের মসলিন এবং দুই রকমের সুতো দিয়ে শাড়ি বোনা হয়। এই বেনারসিতে সিল্কের ফ্যাব্রিক থাকে। সঙ্গে মেশানো থাকে সুতির ব্রোকেড।
বুটিদার বেনারসি: গঙ্গা-যমুনা বেনারসি নামেও এই শাড়িকে ডাকা হয় অনেক সময়ে। শাড়িতে রুপোলি ও সোনালি দুই ধরনের শেড দেখা যায়। ঘন নীলের উপর সোনা ও রুপোর জরির সুতোর কাজ।
এর মধ্যে থাকে সিল্ক। আর থাকে বিভিন্ন ধরনের বুটির ব্যবহার। রেশম বুটি, আশরফি বুটি, লতিফা বুটি, ঝুমর বুটি ইত্যাদি।
জারদৌসি বেনারসি: বিশেষ ধরনের কারুকার্য এই শাড়ির পরিচয়। বুলিয়ন সুতো, ফ্রেঞ্চ ওয়্যার বা মেটালিক স্প্রিং থ্রেড দিয়ে ঘন করে এমব্রয়ডারি করা হয়।
এই ধাতব সুতো চকচকে ও প্যাঁচানো। যেহেতু ধাতব সুতো তাই এই শাড়িতে সোনালি ও রুপোলি এই দুই ধরনের শেড দেখা যায়।