সাংস্কৃতিক মেলবন্ধন প্রায়শই দেখা যায় আমাদের দেশে। আর এই সংস্কৃতির মিশেল বিয়ের অনুষ্ঠানেও তার ছাপ রেখেছে। বাঙালি ও অবাঙালির বিয়ের রীতি রেওয়াজ মিলেমিশে একাকার। এই যেমন মেহন্দি অনুষ্ঠান কয়েক বছর আগে পর্যন্ত অবাঙালি বিয়ের অনুষ্ঠান হিসাবে পরিচিত ছিল। কিন্তু বর্তমানে বাঙালি বিয়েতেও হইহই করে এই আচার পালিত হচ্ছে। বিয়ের তারিখ এগিয়ে আসছে ক্রমশ। আর এই বিয়ের প্রাক্কালেই বেশ কিছু মেহন্দির ডিজাইনের খোঁজ রইল এই প্রতিবেদনে।
- ব্রাইডাল ডিজাইন অর্থাৎ বিয়ের কনের মেহেন্দির ডিজাইন বেশ জমকালো হয়। হাতের আঙুল থেকে শুরু করে ক্রমশ হাতের পাতা ও অনেক ক্ষেত্রে কনুই পর্যন্ত মেহন্দির নকশা আঁকা থাকে।
- ময়ূর নকশা বেশ জনপ্রিয় মেহন্দি মহলে। যাঁরা ঘন নকশা এড়িয়ে চলেন তাঁরা এই নকশাটি ভেবে দেখতে পারেন। দুই হাতে ময়ূরের পেখমের নকশা ফুটিয়ে তোলা হয়।
- ফ্লোরাল ডিজাইন খুব চলতি একখানা নকশা। বিভিন্ন ধরনের সুন্দর ফুল পাতার নকশায় ভরে ওঠে হাত। ঘন ফ্লোরাল নকশা অথবা হালকা ফ্লোরাল নকশা দুই-ই বেশ জনপ্রিয়।
- গতানুগতিক ফুল পাতার নকশার বাইরে একটু অন্য ধরনের মেহন্দি পরতে চাইলে তালিকায় রাখুন জিওমেট্রিক ডিজাইন। সাবেকি নকশা নয়, বরং জ্যামিতিক নকশায় হাত ভরে উঠবে। ভিন্ন ভিন্ন প্যাটার্নের নকশা করা যেতে পারে এ ক্ষেত্রে।
- বর্ডার ডিজাইনও বেশ জাঁকিয়ে জায়গা করে নিচ্ছে মেহন্দি মহলে। হাতের পাতার ধার বরাবর বিভিন্ন কারুকাজ করা হয়। বর্তমানে পায়েো মেহন্দি পরার চল রয়েছে। তাই হাতের সঙ্গে সঙ্গে পায়ের ধার বরাবর এই বর্ডার ডিজাইন করা হয়।
এই প্রতিবেদনটি ‘সাত পাকে বাঁধা’ ফিচারের অংশ।