পেশাগত সূত্রে আলাপ। তবে একে অপরের ব্যক্তিগত পরিসরে পৌঁছতে সময় বেশি লাগেনি। প্রেম করে বিয়ে। আড়াই বছরের সংসার। সংসারে আসতে চলেছে নতুন অতিথি। এমন সময়েই তরুণী সিদ্ধান্ত নিলেন যে, তিনি চাকরি ছেড়ে সংসার নিয়ে ব্যস্ত থাকবেন। তবে গৃহিণী হয়ে থাকার জন্য স্বামীর কাছ থেকে প্রতি সপ্তাহে আদায় করে নেন মোটা ‘পারিশ্রমিক’।
২৮ বছর বয়সি তরুণীর নাম অ্যালি ডি। সেনাবাহিনীতে কর্মরতা ছিলেন তিনি। সেখানেই তাঁর আলাপ হয় ৫১ বছর বয়সি টমের সঙ্গে। প্রেমে পড়েন দু’জনে। টমকে বিয়েও করেন অ্যালি। আড়াই বছরের সম্পর্ক তাঁদের।
সম্প্রতি অন্তঃসত্ত্বা হয়েছেন অ্যালি। অ্যালির মতে, চাকরি ছেড়ে দিয়ে তিনি সংসার নিয়েই ব্যস্ত থাকবেন। তবে গৃহিণী হওয়া কি মুখের কথা? ঘর পরিষ্কার করা থেকে শুরু করে জামাকাপড় কাচা— সংসারের যাবতীয় দায়িত্ব এখন অ্যালির কাঁধে। চাকরি করলে তিনি শ্রমের বিনিময়ে বেতন পেতেন। তবে সংসার চালানোর জন্য পারিশ্রমিক পাবেন না কেন? স্বামীর কাছ থেকে তাই প্রতি সপ্তাহেই বেতন আদায় করেন অ্যালি।
‘দ্য ডেলি মেল’ সূত্রে খবর, প্রতি সপ্তাহে পারিশ্রমিক হিসাবে অ্যালিকে ১০০ ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ৮৪৪১ টাকা) দেন টম। অর্থাৎ মাসে প্রায় ৩৫ হাজার টাকা। শুধু তাই নয়, অ্যালির কাছে যত ক্রেডিট কার্ড ছিল, তা সব নিষ্ক্রিয় করে ফেলেছেন টম। আবার নতুন করে নিজের নামে ক্রেডিট কার্ড নিয়েছেন তিনি। সেই কার্ডগুলি হাতে তুলে দিয়েছেন অ্যালির। অ্যালি জানান, চাকরি করে তিনি যা উপার্জন করতেন তার চেয়ে এখন তিনি বেশি টাকা পাচ্ছেন।
অ্যালি কোথায়, কী খরচ করছেন সবই নখদর্পণে টমের। টম এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘অ্যালি খুব বুঝেশুনে খরচ করে। টাকা থাকলেও ও আজেবাজে জায়গায় খরচ করে আসবে না। আমি ওকে সব দিতে রাজি। শুধু বাকি জীবনটুকু ওর সঙ্গ চাই। সংসারে শান্তি থাকুক। তা হলে আমি বাইরের জগতের সঙ্গে হাসিমুখে লড়াই করতে পারব।’’